‘যেদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে…’ কসবাকাণ্ডে ক্ষোভ উগরে দিলেন রুদ্রনীল
ট্রেন্ডিং: মর্মান্তিক আরজি কর-কাণ্ডের এক বছরও পেরোয়নি। খাস কলকাতায় আবারও ধর্ষিতার আর্তনাদ। কসবা থানার ২৫০ মিটারের মধ্যে পৈশাচিক ঘটনা। ক্যাম্পাসের মধ্যেই ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় উত্তাল হয়েছে গোটা রাজ্য। অভিযুক্তদের মধ্যে একজন তৃণমূল যুবনেতা। এই ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন রুদ্রনীল ঘোষ।
সর্বসমক্ষেই ক্ষুব্ধ রুদ্রনীল বললেন, “যেদিন মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কোনও মেয়ের সঙ্গে এমনটা ঘটবে, সেদিন হয় তো তিনি ভাববেন…”
কসবা-কাণ্ডে গণধর্ষণের ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যার মধ্যে মূল অভিযুক্ত হিসাবে যে নাম উঠে আসছে মনোজিৎ মিশ্রের নাম। তাঁর ফেসবুক প্রোফাইলে তৃণমূলের ছাত্র পরিষদের পরিচয় রয়েছে। সেখানে নিজেকে তিনি দক্ষিণ কলকাতা জেলা টিএমসিপির সাংগঠনিক সম্পাদক হিসাবে পরিচয় দিয়েছেন। অভিনেতা বলেন, “বছরের পর বছর অনৈতিকভাবে ছাত্র সংসদ নির্বাচন বন্ধ করে রেখেছে তৃণমূল। কারণ সেটা হলে তৃণমূলকে কেউ একটা ভোটও দেবে না। অন্য ছাত্র সংগঠন ক্ষমতায় চলে গেলে তাঁরা আর গদিতে থাকবেন না। তাই পরিকল্পিত উপায়ে এই ধরনের ঘটনা। দিনের পর দিন এই অপরাধীরা প্রশ্রয় পাচ্ছে। ভাবতে পারছেন এই মনোজিৎ মিশ্রের মোবাইলে নাকি সিসিটিভি কন্ট্রোলের বোতাম! তিনি ওই কলেজে অনৈতিকভাবে চাকরিও করেন। ওঁরা জানেন যে পুলিশ তাঁদের হাতে।”
রুদ্রনীলের কথায় নিজেদের দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন নাকি শাসকদল। তিনি বলেন, “তৃণমূলের কিছু নেতারা বলছেন অভিযুক্তদের নাকি চেনেন না। দলের কিছু মুখপাত্র বলে ফেলছেন, আমাদের রাজ্যে নাকি খুন করা হয়নি। আর কত রক্ত চাই আপনাদের?” এই প্রসঙ্গে তিনি টেনে আনেন কালীগঞ্জের ছোট্ট তমন্না খাতুনের কথাও। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘুর ভোটে জিতে সংখ্যালঘুর বাড়ির মেয়েটাকেই মেরে ফেলা হল? মিডিয়ার সামনে বিষয়টা প্রকাশ্যে এলেই গ্রেফতারির কথা ওঠে। লোকচক্ষুর আড়ালে যতক্ষণ রয়েছেন, ততক্ষণ এরাই শাসকদলের সম্পদ। ধরা পড়ে গেলেই তাঁদের না চেনার কথা বলা হয়।”
তিনি আরও বলেন, “যাঁরা এই ঘটনাগুলিকে প্রকাশ্যে আনেন, কিছু মিডিয়াকর্মীদেরও গ্রেফতার করা হয় এখানে। কার্ত্তিক মহারাজের কথাই দেখুন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে পশ্চিমবঙ্গে যতদিন এই সরকার থাকবে, ততদিন এই ঘটনা ঘটবে। যেদিন শ্রদ্ধেয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটবে, সেদিন তাঁকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ভাবতে হবে যে, যে এই অপরাধ ঘটিয়েছে, তাঁকে তিনি চেনেন না কি চেনেন না বলবেন।”