এমসিসিতে উন্মোচিত প্রতিকৃতি, লর্ডসে প্রথমবার ঘণ্টা বাজিয়ে সূচনা শচীনের

0

স্পোর্টস ডেস্ক: ‘হোম অব ক্রিকেট’ খ্যাত লর্ডসে খেলাটা যেকোনো ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে। ক্রিকেটের ঐতিহাসিক এই স্টেডিয়ামের বেলকনি, ড্রেসিং রুম থেকে মাঠে যাওয়ার লম্বা রাস্তা, চোখ ধাঁধাঁনো কমেট্রি বক্স সবকিছুরই আলাদা একটা গুরুত্ব আছে। সেই ঐতিহাসিক লর্ডসেই ঘণ্টা বাজিয়ে তৃতীয় টেস্টের সূচনা করলেন শচীন তেন্ডুলকর। পতৌদির নাম সরে গিয়ে এই সিরিজের নামকরণ হয়েছে শচীন তেন্ডুলকর ও জেমস অ্যান্ডারসনের নামে। ২০০৭ সাল থেকে অনেকেই টেস্ট শুরুর আগে এই রীতি পালন করেছিলেন। যদিও এর আগে কখনই এতে অংশ নেননি ‘মাস্টার বাস্টার’।

স্মরণীয় মুহূর্তে সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী অঞ্জলি তেন্ডুলকরও। নিজের নামাঙ্কিত সিরিজেরই ম্যাচের শুরু করায় আলাদাভাবেই রোমাঞ্চিত ভারতের কিংবদন্তি। লর্ডসের ঘণ্টা বাজানোর আগেই অবশ্য সংবর্ধিত হন শচীন তেন্ডুলকর।এমসিসি মিউজিয়ামে একটি অনুষ্ঠানে শচীনকে সম্মানিত করা হয়। সেখানে তাঁর একটি প্রতিকৃতি উন্মোচিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন এমসিসি সভাপতি মার্ক নিকোলাস। নিজের প্রতিকৃতি উন্মোচন করেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরির মালিক। এমসিসির ক্রিকেট মিউজিয়ামে শচীনের পোট্রেটের উদ্বোধন হয়। শচীনের ছবিটি এঁকেছেন বিখ্যাত চিত্র শিল্পী স্টুয়ার্ট রিয়ারসন। ছবি বছরের শেষ পর্যন্ত এমসিসির মিউজিয়ামে থাকবে। এরপর রাখা হবে লর্ডসের সাজঘরে।

এর আগে এই সম্মান দেখিয়েছে কপিলদেব, বিষেণসিংবেদি, দিলীপ বেঙ্গসরকারকেও। শচীন তেন্ডুলকর বলেন, ‘এটা অনেক বড় সম্মানের। ১৯৮৩ সালে, যখন ভারত বিশ্বকাপ জিতেছিল, তখন লর্ডসে আমার প্রথম পরিচয়। আমি আমাদের অধিনায়ক কপিল দেবকে ট্রফি তুলতে দেখেছিলাম। সেই মুহূর্তটা আমার ক্রিকেট জার্নিটা এগিয়ে নিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল।প্যাভিলিয়নের ভেতরে আমার প্রতিকৃতি দেখা যাচ্ছে, জীবন যেন পূর্ণ বৃত্তে এসে গেছে। যখন আমি আমার কোরিয়ার নিয়ে ভাবি, তখন আমার মুখে হাসি ফুটে ওঠে। এটা সত্যিই বিশেষ’।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *