সুপার কাপের আগেই ইস্টবেঙ্গলে গৃহযুদ্ধ! গোয়ায় অস্কারের অপমান-অসম্মান, ইস্তফা সন্দীপ নন্দীর

খেলোয়াড় জীবনই হোক বা কোচিং কেরিয়ার, সন্দীপ নন্দীর নামের সঙ্গে জড়িয়ে সুনামই! দায়িত্ব নিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের। কিন্তু আইএফএ শিল্ডে হারের পরই মোহভঙ্গ হল সন্দীপের। লাল হলুদে ছাড়লেন গোলকিপার কোচের দায়িত্ব।সূত্রের খবর, কোচ অস্কার ব্রুজোর সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। গোয়া ছেড়ে কলকাতায় ফিরছেন অপমানিত সন্দীপ। সুপার কাপ খেলতে গোয়ায় গিয়েছে ইস্টবেঙ্গল, সেখানেই অস্কার ব্রুজ়ো ও সন্দীপ নন্দীর মধ্যে ঝামেলা হয়। তবে ঘটনার সূত্রপাত, আইএফএ শিল্ড ফাইনালে। পুরো ম্যাচ খেলা প্রভসুখন সিংকে তুলে টাইব্রেকারের আগে নামানো হয়েছিল দেবজিৎ মজুমদারকে। তাতে হারের মুখই দেখতে হয় লাল হলুদকে। শিল্ড ফাইনাল হারের পর অস্কার ব্রুজ়ো জানিয়েছিলেন, গোলকিপার বদলটাই ছিল তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি এও বলেছিলেন, তাঁর সাপোর্ট স্টাফরা তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন গোলকিপার বদলের জন্য। তিনি সরাসরি কারও নাম না করলেও আঙুল যে গোলকিপার কোচ সন্দীপের দিকে ছিল তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি কারও। এরপরই গোয়ায় যাওয়ার পর অস্কার ও সন্দীপের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। যার জেরেই সন্দীপ গোলকিপার কোচের পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে, আশিয়ান জয়ী গোলকিপারের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের পথচলা চারমাসের মধ্যেই থেমে গেল। খবর, ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের হারের নৈতিক দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিয়ে অস্কারকে ‘সরি’ও বলেন ভারতসেরা গোলকিপার। কিন্তু সূত্রের খবর, স্প্যানিশ কোচ সন্দীপের ক্ষমাপ্রার্থনাকে কোনও মর্যাদাই দেননি। উলটে ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের সামনে সন্দীপের উপরে চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন অস্কার। এমনকি সিদ্ধান্ত নিয়ে অস্কার সরাসরি তাঁকে বলেন, ‘ইউ আর নট ক্যাপেবল’! তাতেই অপমানিত বোধ করেন সন্দীপ। এরপরই না খেয়েই গোয়া ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে নেন তিনি। ইস্টবেঙ্গলের বহু যুদ্ধের নায়ক সন্দীপ নন্দী। প্লেয়ার হিসেবে আশিয়ান কাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। ট্রেভর জেমস মরগ্যান, সুভাষ ভৌমিকদের জমানায় তিনি একাধিক নিশ্চিত হারের হাত থেকে দলকে বাঁচিয়েছিলেন। লাল হলুদেই তাঁকে এভাবে একটা সিদ্ধান্তের জন্য অপমানিত হতে হবে তা ভাবতে পারছেন না অনেকেই।
