সঞ্জয় সেনই বাংলার কোচ থাকছেন, ক্রীড়ামন্ত্রীর ঘোষণায় অস্বস্তিতে আইএফএ

0


   

দীর্ঘদিন পর বাংলা সন্তোষ ট্রফি জিতেছিল ২০২৪ সালে। সেই জয়ের নেপথ্য কারিগর ছিলেন বাংলার ফুটবল দলের কোচ সঞ্জয় সেন। এবার সেই সঞ্জয় সেনকে এবারের সন্তোষ ট্রফির জন্যও বাংলার কোচ হিসাবে ঘোষণা করে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তাতে স্বস্তি নয়, অস্বস্তিই যেন বাড়ল। আইএফএ এখনও পর্যন্ত কোচ ঠিক করেনি। কোচ সঞ্জয় সেনও প্রতিশ্রুতি দেননি। তারমধ্যে কোচের নাম ঘোষণা ক্রীড়ামন্ত্রীর মুখে! আইএফএ’র অনুষ্ঠানেই ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, ‘যেভাবে দীর্ঘদিন পর বাংলাকে ভারতসেরা করেছেন সঞ্জয়, সেই কৃতিত্বের জন্য যেকোনও প্রশংসাই কম। তাই আবার বাংলাকে ভারতসেরা করার দায়িত্ব দেওয়া হল সঞ্জয়কে’।  সঞ্জয় সেন নিজেও ছিলেন এই ঘোষণায় অবাক। তাঁর বক্তব্য, ‘আমার কাছে কোনও পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। মন্ত্রী আবেগ ও ভালোবাসা থেকে বললেন। এটা নিঃসন্দেহে সম্মানের, কিন্তু এখনই আমি কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছি না।’ আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘আমাদের কোচেস কমিটি আছে তারা সিদ্ধান্ত নেবে। ক্রীড়ামন্ত্রীর ঘোষণা বিবেচনা করা হবে।’ একই সুর সভাপতি অজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। তিনি বলেন, ‘সবকিছুরই একটা নিয়ম আছে। আইএফএ স্বশাসিত একটা সংস্থা। আলাদা কোচিং কমিটি আছে। সঞ্জয় সেন সময় দিতে পারবেন কিনা জানা হবে।আমরা ক্রীড়ামন্ত্রীর প্রস্তাব জানাবো কমিটিকে’।বুধবার থেকে শুরু হয়ে যাবে কলকাতা লিগ। নৈহাটি স্টেডিয়ামে জাঁকজমক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে আইএফএ। সোমবার ছিল কিংবদন্তি পিকে ব্যানার্জির জন্মদিবস। তাঁকে সম্মান জানাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে এবার বঙ্গ ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা আইএফএ। পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়কে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে মর্যাদাপূর্ণ কলকাতা ফুটবল লিগকে উৎসর্গ করা হয় তাঁর নামে। জন্মদিবসকে স্মরণীয় করে রেখে প্রকাশিত হয় পিকে ব্যানার্জির নামাঙ্কিত বিশেষ পোস্টাল স্ট্যাম্প। পাশাপাশি কলকাতা লিগের ম্যাসকটের উন্মোচন হয়। যা এবারই প্রথম।আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, কলকাতা ফুটবল লিগকে প্রতিবছরই উৎসর্গ করা হবে প্রাক্তন ফুটবলারদের শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাতে। এ বছর পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে উৎসর্গ করা হয়েছে। পরের বার অন্য কারও নামে করা হবে।’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, অতনু ভট্টাচার্য প্রমুখ।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *