বন্ধ ভাত,বিরিয়ানি, খোঁটা সহ্য করতে না পেরে ১০ কেজি ওজন কমালেন সরফরাজ

0



‘দুধ না খেলে, হবে না ভাল ছেলে’। সরফরাজ খান ‘ভাল ছেলে’ হতে চান না, হতে চান ‘ভাল ক্রিকেটার’। আর তারজন্য প্রিয় খাবার ছাড়তেও দ্বিধা করেননি। ভারতীয় দলে সুযোগ পেতেই কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে নেটিজেনদের কাছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফর্ম করা সরফরাজ শরীর নিয়ে খোঁটা সহ্য করেননি।মাত্র মাস দেড়েকে নিজেকে বদলে ফেলেছেন অনেকটাই। ১০ কেজি ওজন ঝরিয়ে ৮৬ থেকে এখন তিনি ৭৬ কেজি। আসলে, ফিটনেসে এখন ইয়ো ইয়ো টেস্টে পাশ করতেই হবে কোনও ক্রিকেটারকে। সেই কারণেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ১৫০ রান করেও টেস্ট দলে ব্রাত্য হয়ে গিয়েছেন সরফরাজ। শেষ অস্ট্রেলিয়া সফরে রিজার্ভ বেঞ্চেই থাকতে হয়েছিল। কিন্তু এভাবে হাত কামড়াতে চান না সরফরাজ। এরজন্যই প্রিয় চিকেন ও মটন বিরিয়ানি ছেড়ে দিয়েছেন সরফরাজ। এমনকি, ভাত-রুটি-চিনিও বন্ধ। অর্থাৎ, তার খাদ্যতালিকায় কোনও কার্বোহাইড্রেট নেই। সরফরাজকে ফিট রাখতে খাদ্যাভ্যাসই পুরোপুরি বদলে ফেলেছে গোটা পরিবারই। তাহলে ডেইলি রুটিনে কী খাচ্ছেন? তিনি বলেন, ‘এখন সবজি খাচ্ছি বেশি করে। ব্রকোলি, গাজর, শশা, স্যালাডসহ বিভিন্ন সব্জির দিকে মন দিয়েছি। চিকেন, ডিম সবকিছুই সেদ্ধ করে খাচ্ছি। আর খাচ্ছি গ্রিন টি এবং গ্রিন কফি’। গত দেড় মাস ধরে তারা এই রুটিন মেনে চলছেন। শুধু তিনি নন, তাঁর বাবাও সেই রুটিনই মেনে চলছেন।  নওশাদ বলেন, ‘সরফরাজ় দেড় মাসে ১০ কেজি ওজন কমিয়েছে। আরও কমানোর চেষ্টা করছে। আমার ওজনও ১২ কেজি কমেছে। আমার হাঁটুতে সমস্যা আছে। আগে চিকিৎসক বলেছিলেন, হাঁটু বদলাতে হবে। কিন্তু ওজন কমিয়ে ফেলেছি বলে এখন আর তার প্রয়োজন নেই। আমার ছোট ছেলে মইনও ওজন কমিয়েছে।’ ডেইলি রুটিনে সন্ধেয় মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার জিমে যান সরফরাজ ও নওশাদ। সপ্তাহে ছয়দিন। জিমে ঢোকার আগে সরফরাজ আধ ঘণ্টা করে দৌড়োন আর সাঁতার কাটেন। সেই সময়টা হনহন করে হাঁটেন নওশাদ। তার পরে জিম শুরু হয়। রাতে বাড়ি ফিরে ডিনার সেরে ঘুম। কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর অবশ্য বরাবর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর। গাভাসকরের যুক্তি, শরীরের ওজনের থেকে ক্রিকেটারের পারফরম্যান্স ও ফিটনেস বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে যেভাবে সরফরাজ ১০ কেজি ওজন কমিয়েছেন, তাতে সমালোচকরা মুখ বন্ধ রাখতে বাধ্য হবেন। এখন আর তাঁকে মোটেও মোটা বলা যাচ্ছে না।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *