পূর্ব বর্ধমানের জৌগ্রামে ফুটবল ভক্তের বাড়িতেই বসল অমর একাদশের ভাস্কর্য

ফুটবল পাগল ভক্ত অনেকে আছেন। তা’বলে এতটা! নিজের বাড়ি গোটাটাই সাজিয়ে ফেলেছেন মোহনবাগানের আদলে। শুধু কী তাই, বাড়িতেই প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছেন অমর একাদশের মূর্তিও! পূর্ব বর্ধমানের জৌ গ্রামে এখন এই বাড়ি দেখার জন্য রীতিমতো ভিড়। যে বাড়ির উদ্বোধনে গিয়ে রীতিমতো চমকেই গেছেন মোহনবাগানের সচিব দেবাশিস দত্ত সহ ক্লাবের কর্মকর্তারা। আদ্যপ্রান্ত ফুটবলপ্রেমী এবং মোহনবাগান ক্লাবের সক্রিয় সদস্য সত্যনারায়ণ নন্দী। তিনিই তাঁর বাড়ি সাজিয়েছেন সবুজ মেরুন রঙে। বাড়ির ভেতর ঢুকলে মনে হবে মোহনবাগানের মিউজিয়ামেই চলে এসেছেন। সেই বাড়ির দ্বারোদঘাটন করেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। উপস্থিত ছিলেন মোহনবাগান ক্লাবের সহ সভাপতি অসিত চ্যাটার্জি, সোহিনী মিত্র চৌবে, সহ সচিব ও প্রখ্যাত ভারতীয় ফুটবলার সত্যজিৎ চ্যাটার্জি, মানস ভট্টাচার্য সহ অন্যরা। সত্যনারায়ণ নন্দী একজন মশলা ব্যবসায়ী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ডিভিশন ফুটবল খেলেছেন। সেই থেকেই ফুটবল প্রেম। বলা ভাল, মোহনবাগানের প্রতি আকর্ষণ।

সত্যনারায়ণ নন্দী এমনভাবে বাড়ি সাজাতে পেরে ভীষণ আবেগপ্রবণ। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরেই চিন্তাভাবনা চলছিল, কিন্তু নানান কারণে সম্ভব হচ্ছিল না। এখন সম্ভব হল।ভীষণ খুশি। এও জানান, তাঁর সিদ্ধান্ত রূপায়নে স্ত্রী মৌসুমী নন্দী এবং মেয়ে সৌমিলী নন্দী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। সত্যনারায়ণের মেয়ে সৌমিলী জানিয়েছেন, ‘এটা একটা বড় আবেগের বিষয়। কে কী বলছেন সেটা বড় বিষয় নয়। ছোট বয়স থেকেই মোহনবাগানের খেলা দেখতে ভালবাসি। বাড়ির গৃহপ্রবেশ তো হয়ই। কিন্তু এটা একটা আলাদা অনুভূতি’। অমর একাদশের মূর্তি দেখে অবাক ক্লাবের সচিব দেবাশিস দত্ত। তিনি বলেন, ‘অনেকেই হয়ত মোহনবাগানের রঙে বাড়ি রঙ করেন কিন্তু এখানে রঙের পাশাপাশি ১৯১১ সালে আইএফএ শিল্ড জয়ী দলের ম্যুরাল প্রথম দেখলাম। এই বাড়ি এলাকায় একটা নিদর্শন হয়ে থাকবে। এতে পরবর্তী প্রজন্ম মোহনবাগানের প্রতি আকৃষ্ট হবে, ইতিহাস জানবে’। প্রসঙ্গত, অমর এগারো স্মরণে নন্দী বাড়িতেই একটি ফাইবারের এগারো জন ফুটবলারের ভাস্কর্যের আবরণ উন্মোচন করা হয় এবং এগারোটি রক্তগোলাপ দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।