মুখোমুখি হতেই লাজুক হাসি, শুভমন-সারার কি মন জুড়লো? নেটিজেনদের নানা কথা
স্পোর্টস ডেস্ক: প্রেমের জোয়ারে…ফের কী ভাসছেন শুভমন গিল। না হলে, দেখা হতেই ওমন লাজুক হাসি কেন! ফের একসঙ্গে শুভমন গিল আর সারা তেন্ডুলকরকে দেখা যেতেই নেটমাধ্যমে হইচই। তবে কি আবার এক হল দুটি মন? আপাতত ইংল্যান্ডে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন শুভমন। দারুণ ফর্মে। আর লন্ডনেই বাবা শচীন তেন্ডুলকরের নামাঙ্কিত সিরিজে হাজির সারা তেন্ডুলকরও। তবে দেখাটা মাঠে নয়, হয়েছে এক পার্টিতে। লন্ডনেই ক্যান্সারজয়ী যুবরাজ সিংয়ের ‘ইউউইক্যান ফাউন্ডেশন’ ডিনার পার্টির আয়োজন করেছিল। সেখানেই দেখা গিয়েছিল প্রাক্তন-বর্তমান ক্রিকেটারদের।
আমন্ত্রিত ছিলেন যেমন শুভমন, তেমনই শচীন কন্যাও। শচীন-লারা-বিরাট-গম্ভীর সবাই উপস্থিত ছিলেন সেই অনুষ্ঠানে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে দুটি নাম-শুভমন আর সারা। অতীতে গিল ও সারাকে নিয়ে প্রেমের গুঞ্জন চললেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সমাজ মাধ্যমে একে- অন্যকে আনফলো করে দেওয়ায়। যখন দু’জনের সম্পর্ক থিতিয়েই গিয়েছিল, সেইসময়ই সারার পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় মুচকি হেসে ফেললেন শুভমন। ফলে, আবার ট্যুইস্ট। আবার জল্পনা। অনেকেই মনে করছেন, ২৫ বছর বয়সী গিল ও ২৭ বছরের সারার এই চোখাচোখি হয়তো কাকতালীয়ভাবেই হয়েছে। কিন্তু নেটিজেনদের ভাবনা কি আটকানো যায়! মুহূর্তে ভি়ডিও ক্লিপিংসের সেই মুহূর্ত ভাইরাল হয়ে গিয়েছে।
অনেকেই মনে করছেন, সম্পর্ক আবার জোড়া লেগেছে দু’জনের। না’হলে কিছুতেই হাসি মুখে ছবি হতোই না। ২০২০ সাল থেকেই শোনা যাচ্ছিল সম্পর্কে রয়েছেন সারা-শুভমন। আইপিএল হোক কিংবা একদিনের আন্তর্জাতিক— শুভমন খেললে মাঠে উপস্থিত থাকেন সারা। ময়দানে সাফল্য এলে মুখের অভিব্যক্তি বদলে যেত তাঁর। শুভমন মাঠে থাকলে গ্য়ালারি থেকে স্লোগান উঠত, ‘হামারি ভাবি ক্যায়সি হো, সারা ভাবি জ্যায়সি হো…’ এমনকী, একটা ম্যাচে তো স্লোগান শুনে বিব্রত বিরাট কোহলি পর্যন্ত ইশারা করে গ্যালারিকে চুপ করার ইঙ্গিত করেছিলেন। কিন্তু নিজের ব্যক্তিগত জীবন আড়ালেই রাখতে চান শুভমন। কাকে মন দিয়েছেন শেষপর্যন্ত তা আজও সত্যিই অজানা।