আবার সেঞ্চুরি করে কোহলির সঙ্গে ‘বিরাট’ মিল শুভমনের, যশস্বী ৮৭
স্পোর্টস ডেস্ক: ৯৪ থেকে জো রুটকে পরপর দুটি বাউন্ডারিতে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে হেলমেট খুললেন। হাত তুললেন। হুঙ্কার ছাড়লেন। তারপর এমআরএফ ব্যাটটায় আলতো চুম্বন। অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। ২ নম্বর সেঞ্চুরি। বিরাট কোহলিও তাই করেছিলেন। এমআরএফ ব্যাটেই। বিরাট করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে। আর শুভমন করলেন আর এক জায়ান্ট ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে। প্রথম দিনের শেষে ভারতের রান ৫ উইকেটে ৩১০। প্রতম দিনের শেষে অপরাজিত রয়েছেন গিল (১১৪) এবং জাদেজা (৪১)। তার আগে শতরান থেকে ১৩ রান দূরে থেমেছেন যশস্বী জয়সওয়াল। সবমিলিয়ে এজবাস্টন টেস্টে প্রথম দিন শক্ত ভিত পেয়ে গেল ভারত।

১২ চারে ২১৬ বলে ১১৪ রানে অপরাজিত আছেন গিল। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম দুই টেস্টে সেঞ্চুরি করা চতুর্থ ভারতীয় তিনি। তার আগে বিজয় হাজারে, সুনীল গাভাসকর ও বিরাট কোহলি পান এই স্বাদ। শুভমন অবশ্য ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে হওয়া টেস্টে টানা ৩টি ম্যাচে সেঞ্চুরি করা খেলোয়াড়ও হলেন। মহম্মদ আজহারউদ্দিনের পরে দ্বিতীয় ভারত অধিনায়ক হিসেবে ইংল্যান্ডের মাটিতে পরপর দুটো সেঞ্চুরি করলেন গিল।

ইনিংসের শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। শুরুতেই ফিরে যান কে এল রাহুল (২)। এরপর করুণ নায়ার ভালই এগোচ্ছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩১ রানের মাথাতেই ছন্দপতন। আট বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে টানা তিন ইনিংসে ব্যর্থ হলেন ৩৩ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। এর পরে যশস্বী ও গিল ভারতীয় ইনিংসকে টেনে নিয়ে যান। সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান আগেই থেমে গেলেন ভারতের বাঁ হাতি ওপেনার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এই নিয়ে টানা সাত টেস্টে পঞ্চাশ স্পর্শ করলেন তিনি। ভারতীয়দের মধ্যে তার আগে এই স্বাদ পান কেবল রাহুল দ্রাবিড়। পন্থ (২৫) মারতে গিয়ে ধরা পড়লেন ক্রলির হাতে। এরপর শুধুই শুভমনের মন জয় করা ইনিংস। নীতিশ ১ রানের বেশি করতে পারেননি। তবে টিকে যান জাদেজা। ভারতের স্কোর তখন ৫ উইকেটে ২১১। সেখান থেকেই শুরু গিল ও জাদেজার লড়াই। ৯৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দু’জনে। দুজনেই অপরাজিত।