কেন শুভমনই অধিনায়ক, কেন টেস্টে নেতৃত্বের দায়িত্ব পেলেন না বুমরাহ

রোহিত শর্মার ছেড়ে দেওয়া ব্যাটন তুলে দেওয়া হল শুভমন গিলের হাতে। তিনিই ভারতীয় দলের নতুন অধিনায়ক।কয়েকদিন ধরেই নানা নাম ভাসছিল। তারমধ্যেই সবচেয়ে জোরালো ছিল শুভমন গিলের নামই। তাই হল। আর এক নাম চর্চায় উঠে এসেছিল। তিনি ঋষভ পন্থ। তাঁকে ডেপুটি করা হয়েছে ভারতীয় দলের। ল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ২০ জুন থেকে শুরু হতে যাওয়া টেস্ট সিরিজ দিয়ে গিলের অধিনায়কত্ব শুরু হবে। এটি হবে জাতীয় দলে গিলের পূর্ণ মেয়াদে প্রথমবার নেতৃত্ব পাওয়া ঘটনা। এর আগে শেষ বর্ডার-গাভাসকর সিরিজ পর্যন্ত ভারতের অধিনায়কত্বে রোহিত ও তার সহকারীর ভূমিকায় ছিলেন জসপ্রীত বুমরাহ। ফলে, নতুন জমানা শুরু হল বলাই যায়। কিন্তু জসপ্রীত বুমরাহ নন কেন? এই প্রশ্নও উঠেছে। নতুন অধিনায়ক ঘোষণা করার পর প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকর বলেন, ‘হাতে থাকা প্রতিটি অপশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। গত এক বছর শুভমন গিলের দিকে নজর ছিল। একইসঙ্গে ড্রেসিংরুম থেকেও ফিডব্যাক পেয়েছি। পরিশেষে আমাদের আশা উপযুক্ত ব্যক্তিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।’ এরপর বুমরাহকে কেন বাছা হয়নি তার উত্তরও দিয়েছেন আগারকর। আসলে, বুমরাহকে বাদ রাখতে হয়েছে আসলে বুমরাহর ভালোর জন্যই। কারণ, বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার বুমরাহ নিশ্চিতভাবেই দলের সব টেস্ট খেলবেন না। সেরাটা পেতে বুমরাহকে খেলানো হবে বেছে বেছে। এটাই মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক অজিত আগারকর। তিনি বলেন, ‘বুমরাহ অস্ট্রেলিয়ায় নেতৃত্ব দিয়েছিল। কিন্তু ওকে সব টেস্ট ম্যাচে পাওয়া যাচ্ছে না। আমার মনে হয়, আমরা সবার আগে বুমরাহকে খেলোয়াড় হিসেবে চাই।’ তাই তাঁর ওপর অধিনায়কত্বের বাড়তি বোঝা চাপাতে চায়নি ম্যানেজমেন্ট। অজিত আগারকর আরও বলেন, ‘এক, দুই সফরের জন্য তো আর কেউ অধিনায়ক বাছাই করে না। ভবিষ্যতের কথা ভেবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার যা আমাদের এগিয়ে নিয়ে যাবে। সবাই ওর উন্নতিটা দেখেছে। আশা করছি আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিষয়টা নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং হবে। ও অধিনায়ক হওয়ার পরেই হয়তো অনেক কিছু শিখবে। তবে আমাদের ওর প্রতি আস্থা রয়েছে এবং সেই কারণেই আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ গিল এখনো টেস্ট বা ওয়ানডেতে ভারতের অধিনায়কত্ব করেননি। ইংল্যান্ডেই হবে নেতৃত্বের অভিষেক। তবে তিনি পাঁচটি টি২০তে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, ২০২৪ সালের মাঝামাঝি জিম্বাবোয়ে সফরে হয়েছিল। টি২০ বিশ্বকাপের পরই হওয়া সিরিজে ভারতের প্রথম সারির অনেক খেলোয়াড় বিশ্রামে ছিলেন। সাদা বলের দুই সংস্করণেই গিল এখন সহ-অধিনায়ক।