হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন স্মৃতির বাবা, অন্যদিকে পলাশ মুচ্ছলও, এরপরও বিয়ে নিয়ে চুপ
উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার অনেকটা অবসান। কিন্তু কৌতূহল যেন দ্বিগুণ বেড়ে যাচ্ছে নেটিজেনদের। স্মৃতি মান্ধানা-পলাশ মুচ্ছলের বিয়ে নিয়ে শেষপর্যন্ত কী হল তা নিয়েই জল্পনা চারিদিকে। নানা গুজব, খবর ছড়ানোর বাইরে স্বস্তির খবর, স্মৃতি মান্ধানার বাবা, শ্রীনিবাস মান্ধানা ছাড়া পেয়েছেন হাসপাতাল থেকে। অনেকটাই সুস্থ তিনি। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।যদিও জানা গিয়েছিল, শ্রীনিবাস মান্ধানা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার কারণেই এই বিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়।
পলাশ মুচ্ছলও বিয়ে স্থগিতের পরের দিনই শরীর খারাপের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর তাঁকে ছেড়ে দিলে, তিনি মুম্বইয়ের হাসপাতালে ভর্তি হন। দিনতিনেক ভর্তি থাকার পর সোমবারও তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে, অনেকেই আশা করেছিলেন এরপরই হয়তো ২ পরিবারের পক্ষ থেকে কিছু ঘোষণা করা হবে। তবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটলেও দুই পরিবারই নিশ্চুপ।

কৌতূহল আরও বেড়েছে কারণ, স্মৃতি তাঁর বিয়ের আগের সব স্মৃতিই সমাজ মাধ্যম থেকে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি একাই নন, তাঁর টিম ইন্ডিয়ার সতীর্থরাও একই কাজ করেছেন। বিয়ে পিছিয়ে যাওয়ার পরের দিনই সমাজ মাধ্যমে পলাশ মুচ্ছলের বিরুদ্ধে স্মৃতি মান্ধানাকে ঠকানোর অভিযোগ উঠছে। ভাইরাল হয় চ্যাটিংয়ের একটি স্ক্রিনশট। যা পলাশ মুচ্ছলের গোপন চ্যাট বলেই অভিযোগ ওঠে। জল্পনা শোনা যাচ্ছে, বিয়ের ঠিক আগের দিন স্মৃতির এক বান্ধবীর সঙ্গে পলাশকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখা যায়।সেই নিয়ে অবশ্য পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও কথা জানানো হয়নি। সত্যি বিয়ে স্থগিতের কারণ সেই কথা জানাজানি হওয়া নাকি স্মৃতির বাবার অসুস্থতা তাও জানা যায়নি। বরপক্ষ ও অতিথিরা অবশ্য যে যার বাড়ি ফিরে এসেছেন।

এরমধ্যেই স্মৃতির সতীর্থ রাধা যাদব নাকি ইনস্টায় আনফলো করে দিয়েছেন পলাশ মুচ্ছলকে, এমন খবরই হয়েছে। যদিও স্মৃতির বাবা শ্রীনিবাস মান্ধানা এখনও আনফলো করেননি। এমনকি স্মৃতির অন্যান্য সতীর্থরা এখনও পলাশকে ফলো করছেন ইনস্টাগ্রামে। তাই নানারকম বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে সমাজ মাধ্যমে।
