উল্টে গেল স্পিডবোট, ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরলেন সৌরভের দাদা স্নেহাশিস ও তাঁর স্ত্রী

0

স্পোর্টস ডেস্ক: বিপদ বলে আসে না। গিয়েছিলেন বেড়াতে, সেখানেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় ও তাঁর স্ত্রী। অল্পের জন্য বড় বিপদ থেকে রক্ষা পেলেন তাঁরা। স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে পুরী বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনার মুখে পড়লেন সিএবি প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। পুরীর সমুদ্রে জয় রাইড চাপতে গিয়ে বিপত্তি। উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের ধাক্কায় উল্টে যায় স্পিডবোট। সেই বোটেই ছিলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস ও তাঁর স্ত্রী অর্পিতা।সঙ্গে সঙ্গেই তাদের উদ্ধার করতে সমুদ্রে ঝাঁপিয়ে পড়েন লাইফগার্ডরা। স্নেহাশিস ও অর্পিতাকে দ্রুত উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসা হয়।

সম্পূর্ণ সুস্থ থাকলেও চোখে মুখে ছিল আতঙ্কের ছাপ। সমুদ্রে কিছু দূর এগোনোর পরই উল্টে যায় বোটটি। তার থেকে সমুদ্রে ছিটকে পড়েন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা, বৌদি-সহ বাকি পর্যটকেরা। দুর্ঘটনাটি নজরে আসতেই দ্রুত লাইফগার্ডরা সাঁতরে সেখানে পৌঁছে সকলকে উদ্ধার করেন। অর্পিতা জানান, ‘একটি বড় ঢেউয়ের ধাক্কায় তাঁদের বোটটি বিপদে পড়ে। যদি নুলিয়ারা ঠিক সময়ে না পৌঁছত তা হলে আমরা কেউ বাঁচতাম না। আমি এখনও ট্রমায় আছি। জীবনে কোনও দিন এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হবে ভাবিনি।’ পাশাপাশি প্রবল ঢেউয়ে সঠিক নিয়ম মানা হয়নি বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

বলেন, যতজন লোকের আসন ততজনকে বোটে তোলা হলে, মোটেও বোটটা উল্টে যেত না। এক একটি স্পিড বোটে ১০ জন করে চাপার ব্যবস্থা থাকলেও বেশি টাকার লোভে মাত্র তিন চার জন করে লোক নিয়ে এক একটি বোট ছাড়া হচ্ছিল’। অর্পিতা এই অভিযোগও করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি সে’প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি ওড়িশা সরকারকে পুরী সমুদ্র সৈকতে এই ধরনের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি। অন্যথায়, পর্যটকদের বেঘোর প্রাণ যাবে। ভাগ্যক্রমে, সমুদ্র সৈকতে লাইফগার্ড ছিল, তাই আমরা বেঁচে ফিরতে পেরেছি৷ আমরা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি এবং পুরীর এসপিকে চিঠি লিখে এই দুর্ঘটনার কথা জানাব।’ উল্লেখ্য, গতবছর জুলাইয়ে বিয়ে সেরেছেন ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাদা স্নেহাশিস।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *