কেন বাবার হাতে খুন টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা! ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় না অন্য কিছু!

0

স্পোর্টস ডেস্ক: বাবার গুলিতে ঝাঝরা টেনিস খেলোয়াড় রাধিকা যাদব। কেন? জল্পনা-ধোঁয়াশা বাড়ছে।গুরুগ্রামের বাড়িতে বাবা তার মেয়েকে লক্ষ্য করে পাঁচটি গুলি চালিয়েছেন, যার মধ্যে তিনটি তাঁর গায়ে লেগেছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাধিকার বাবা মেয়েকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। কিন্তু কেন? পরিবারের সম্মান রক্ষার অজুহাত না মেয়ের খ্যাতি, সাফল্য, অর্থ রোজগারে ঈর্ষা, নানা তত্ত্ব উঠে আসছে। এরমধ্যেই জানা গেছে অন্য এক তথ্যও। গত বছর এক মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছিলেন রাধিকা। এই ঘটনায় তাঁর বাবা ক্ষুব্ধ ছিলেন বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। রাধিকার বাবা বলেছিলেন, সব সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে এই মিউজিক ভিডিও, রিল মুছে ফেলতে হবে। কিন্তু তাতে রাজি হননি। কিন্তু মিউজিক ভিডিওতে রাধিকার রোম্যান্টিক দৃশ্যে উপস্থিতি, পরিবারের উপর চাপ বাড়িয়ে তোলে।

কী দিয়ে খুন –
নিজের মেয়েকে খুন করতে দীপক বৈধ .৩২ বোর রিভলবার ব্যবহার করে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত .৩২ বোর রিভলভার থেকে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালান। তার মধ্যে তিনটি লাগে রাধিকার গায়ে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। ওই বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে খুনে ব্যবহৃত রিভলবারও।

কীভাবে গুলি –
২৫ বছর বয়সি জাতীয় স্তরের টেনিস খেলোয়াড় রাধিকাকে বৃহস্পতিবার সকালে গুলি করে খুন করেন তাঁর বাবা দীপক যাদব। সূত্রের খবর, হরিয়ানার গুরুগ্রামের সুশান্ত লোক ২-এর ব্লক জি-তে তাঁদের তিনতলা বাড়িতেই ছিলেন রাধিকা। মায়ের জন্মদিন উপলক্ষে রান্না করছিলেন।আচমকা পিছন থেকে এসে তাঁর উপর গুলি চালান বাবা। তিনটি গুলিই রাধিকার শরীরে, ফলে বাঁচানো আর সম্ভব হয়নি।

মা কী জানিয়েছে –
রাধিকার মা মঞ্জু যাদব প্রথমে পুলিশকে কিছু বলতে চাননি। পেসার কুকার বাস্ট করেছে ভেবে দেখতে এসেছিলেন। এসে ২৫ বছর বয়সি মেয়ের নিথর দেহ দেখতে পান।

কে এই রাধিকা –
নিহত রাধিকা যাদব একজন জাতীয় স্তরের টেনিস খেলোয়াড় ছিলেন। আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশন (ITF) র‍্যাঙ্কিং ছিল ডাবলস টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে ১১৩। রাধিকা তার কেরিয়ারে ৩৬টি সিঙ্গলস ও ৭টি ডাবলস ম্যাচ খেলেছেন। শেষ সিঙ্গলস ম্যাচ খেলেন মার্চ ২০২৪-এ এবং ডাবলস ম্যাচ ২০২৩ সালের জুনে। একাধিক পদক জিতলেও, চোটের কারণে কেরিয়ারে বাধা পড়ে। গুরগাঁওয়ের সেক্টর ৫৭-এ রাধিকা নিজের টেনিস অ্যাকাডেমি খুলেছিল। সেটা চালু হওয়ার পর থেকেই দীপকের মেয়ের প্রতি অসন্তোষ ও ঈর্ষা বাড়ছিল বলে দাবি তদন্তকারীদের।

কী বলছেন বাবা –
রাধিকা টেনিস অ্যাকাডেমি চালাতেন। রাধিকাই সংসারে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন। মেয়ের রোজগারে খেতে হচ্ছে— বিষয়টি তিনি মেনে নিতে পারছিলেন না। তা নিয়ে অবসাদে ভুগছিলেন। পাড়াপ্রতিবেশীরাও অনেকে এ নিয়ে তাঁকে কটাক্ষ করছিলেন। মেয়েকেকে অ্যাকাডেমি বন্ধ করতে বলেছিলেন দীপক। কিন্তু রাধিকা তা মানেননি। এর জেরেই খুন।

মিউজিক ভি়ডিও তত্ত্ব –
‘কারওয়াঁ’ নামের একটি গানের ভিডিও তৈরি করেছিল৷ যার প্রডিউসার ছিলেন জিশান আহমেদ নামের এক ব্যক্তি। এই ভিডিয়োয় গায়কের কাঁধে মাথা রাখতে দেখা গিয়েছিল রাধিকাকে৷ অভিযোগ, এই ভিডিও নিয়েও নাকি কথা শুনতে দেখা হয়েছিল রাধিকার বাবা দীপককে৷রাধিকার বাবা বলেছিলেন, সব সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডল থেকে এই মিউজিক ভিডিও, রিল মুছে ফেলতে হবে। কিন্তু তাতে রাজি হননি রাধিকা। ইনস্টাগ্রাম রিল নিয়ে বাবা-মেয়ের মধ্যে বেশ কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল।

কী জানাচ্ছে পুলিশ –
পুলিশ জানাচ্ছে, ভিডিও নয়, খুনের দিন সকালে অ্যাকাডেমি বন্ধ করা নিয়ে বচসা হচ্ছিল রাধিকা ও তাঁর বাবা দীপকের৷ তার মাঝেই মুহূর্তের রাগের চোটে দীপক মেয়ের উপরে গুলি চালায়৷

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *