সেমিফাইনাল না খেলেই আফ্রিদির মুখের ওপরই মাঠ ছাড়লেন যুবি-ধাওয়ানরা

0

স্পোর্টস ডেস্ক: এখনও দগদগে ঘা-এর মতো স্মৃতি পহেলগাঁও কাণ্ড। নিজেদের অবস্থানেই অনড় থাকলেন যুবরাজ-ধাওয়ানরা। খেললেন না ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডসের সেমিফাইনালে। কারণ, ম্যাচটা পাকিস্তানের বিপক্ষে ছিল। তাতে পরিষ্কার পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বরফ এখনও গলেনি। মেনে নিতে পারেননি ক্রিকেটাররা।এর আগে, ভারতীয় খেলোয়াড় এবং টুর্নামেন্টের প্রধান স্পনসরের তীব্র আপত্তির পর দুই দেশের মধ্যে লিগ পর্বের খেলাটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাতিল করা হয়েছিল। সুরেশ রায়না এবং শিখর ধাওয়ানের মতো প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটাররা প্রকাশ্যে ঘোষণা করেছিলেন যে, তাঁরা এই ম্যাচে অংশগ্রহণ করবেন না।

এ বার সেমিফাইনাল থেকে ফাইনালে ওঠার সুযোগ থাকলেও, তা নিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবলেন না তাঁরা। আজ বৃহস্পতিবার বার্মিংহামে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল ম্যাচটি। ভারত চ্যাম্পিয়ন্স ম্যাচ বর্জন করায় পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফাইনালে উঠে গেছে। ভারত চ্যাম্পিয়ন্স দলে যুবরাজ সিং, শিখর ধাওয়ান, সুরেশ রায়না, হরভজন সিং, ইউসুফ পাঠান ও রবিন উথাপ্পার মতো খেলোয়াড় রয়েছেন। ভারত সেমিফাইনালে ওঠার পরই পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শহিদ আফ্রিদি কটাক্ষ করে বলেন, ‘জানি না এবার কোন মুখ নিয়ে খেলবে, তবে খেলতে আমাদের সঙ্গে হবেই।’ কিন্তু আফ্রিদির মন্তব্য বুমেরাং হয়ে গেল।আফ্রিদির সামনেই ম্যাচ না খেলে ফিরে যান রায়না, যুবি, ভাজ্জিরা।

আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ভারত চ্যাম্পিয়নদের সেমিফাইনাল থেকে নাম প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্তকে আমরা সম্মান করি। একইসঙ্গে আমরা পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নদের খেলার সিদ্ধান্তকেও সম্মান করি। তবে সবদিক বিবেচনা করে, ভারত চ্যাম্পিয়ন এবং পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নদের মধ্যে ম্যাচ পরিত্যক্ত করা হল’। উল্লেখ্য, গতবার ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্সদের হারিয়ে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডস ২০২৪ জিতে নিয়েছিলেন ভারতের চ্যাম্পিয়নরা। এজবাস্টনে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয় যুবরাজ সিং-নেতৃত্বাধীন দল। শিখর ধাওয়ান এ বার গ্রুপ পর্বের ম্যাচের সময়ই বলে দেন, ‘আমি আগে যখন খেলেনি তাহলে পরেও খেলব না।’ সেই জেদই বজায় রাখলেন। পাকিস্তানের সঙ্গে কোনওভাবেই খেললেন না। যদিও এশিয়া কাপে ভারত-পাকিস্তান দু’দলই রয়েছে। তা নিয়ে বিতর্কও চলছে। সেখানে খেলা উচিত না উচিত নয়, তা নিয়ে বিভিন্ন মত উঠে আসছে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *