তোলপাড় অসম, জুবিনের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের প্রিজনভ্যানে হামলা, উত্তেজিত জনতা

অশান্ত অসম। জুবিন গর্গের অকাল মৃত্যুর পর থেকেই তোলপাড় চলছে। গায়কের মৃত্যুতে গ্রেপ্তার হওয়া ৫ অভিযুক্তকে জেলে নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশি কনভয়ে হামলা চালাল ক্ষিপ্ত জনতা। ঘটনাকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় অসমের বকসা জেলায়। বুধবার দুপুর থেকে মুসালপুরের জেলের বাইরে ভিড় জমতে থাকে৷ পাঁচ অভিযুক্তকে নিয়ে পুলিশের গাড়ি জেলে পৌঁছতেই পরিস্থিতি কার্যত নিয়ন্ত্রণে বাইরে চলে যায়। পুলিশের কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে তাদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। হঠাৎই ‘জাস্টিস ফর জুবিন’ স্লোগান দিতে দিতে পুলিশের প্রিজনভ্যানে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। শুধু তাই নয়, তাদের স্লোগান দিতে শোনা যায়, ‘ওদের ভেতরে রাখা যাবে না। আমাদের হাতে তুলে দিন।’ দুপক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধ্বস্তাধ্বস্তি। উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস- শেল ছুড়তে হয়। কারও হাতে পাথর, কারও হাতে পোস্টার, কেউ আবার কাঁদতে কাঁদতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন উত্তেজিত জনতা। জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তিনটি পুলিশের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। অভিযুক্তদের লক্ষ্য করে ছোড়া হয় ইট পাথর। গোটা ঘটনায় বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী এবং সাংবাদিক আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা অনুযায়ী বিধিনিষেধও জারি করা হয়েছে৷ প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, এখন বাকসা জেলার কোনও এলাকায় পাঁচজনের বেশি জমায়েত করতে পারবেন না৷ এছাড়া আরও বেশ কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হবে৷পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করা হবে৷অসমের প্রখ্যাত গায়কের মৃত্যু ঘিরে রহস্য ক্রমশ জমাট বাঁধতে শুরু করেছে৷উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরে নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভালে যোগ দিতে গিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর আকস্মিক মৃত্যু হয় গায়ক জুবিন গর্গের। কীভাবে গায়কের মৃত্যু হল, তা নিয়ে প্রথম থেকেই ধোঁয়াশা থেকে গিয়েছে। স্বামীর মৃত্যুতে ন্যায়বিচারের দাবি করেছেন স্ত্রী গরিমা সাইকিয়া গর্গও। এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারের সংখ্যা পাঁচ। এদের মধ্যে রয়েছে নর্থ-ইস্ট ফেস্টিভালের আয়োজক শ্যামকানু মহন্ত, সংগীতশিল্পী অমৃতপ্রভা মহন্ত, ব্যান্ডের সদস্য শেখর জ্যোতি গোস্বামী, জুবিনের আপ্তসহায়ক সিদ্ধার্থ শর্মা, এমনকি গায়কের তুতো ভাই তথা পুলিশ আধিকারিক সন্দীপন গর্গও।