‘আমার ভেতরের অন্য আমি, যা আমি হতে চাই’ তার নামই হেমা মালিনী, আলাপচারিতায় পরিচালক

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: এক স্বপ্নের নাম ‘আমি যখন হেমা মালিনী’। এক বিশেষ্য নয়, এক রূপক। সেই রূপকথারই ঝলক নিয়ে হাজির হল ছবির ট্রেলার। প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি আসছে অগাস্ট মাসে। ট্রেলার লঞ্চের জমকালো অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ছবির কলাকুশলীরা। চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায়, চৈতি ঘোষাল, ভাস্বর চট্টোপাধ্যায়, পাপিয়া রাও, দেবলীনা দত্ত, রশ্নি দত্ত, কাঞ্চনা মৈত্র, পিয়ালী মুন্সী, অলোক সান্যাল, সুজয় বিশ্বাস, ইন্দ্রাণী ঘোষ প্রমুখ। ছবির পরিচালনা করেছেন পারমিতা মুন্সী।

ট্রেলার লঞ্চের পর আডিশনের সঙ্গে সাক্ষাতকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, ‘হেমা মালিনী’ মানে কি শুধু একজন নারীর গল্প? পারমিতা মুন্সীর উত্তরে উঠে এল এক অন্য জগতের গল্প। তিনি বললেন, “হেমা মালিনী এখানে কোনও নাম নয়, এটা একটা বিশেষণ। ঋগ্বেদের শ্রীসূক্তম-এ মা লক্ষ্মীকে বলা হয় সূবর্ণা হেমা মালিনী। আবার ভোপালে টুটি-ফ্রুটিকেও হেমা মালিনী বলে। এটা জীবনের সেই উদযাপন, যেখানে আমরা নিজেদের চেনা গণ্ডি ছাড়িয়ে বৃহত্তর এক জীবনকে বাঁচতে চাই। সেই জীবনটা উদযাপন করতে পুরুষ নারী নির্বিশেষে সবাই চায়। তো জীবনেরই গল্প হেমা মালিনী।”

‘আমি যখন হেমা মালিনী’— কেন এমন শিরোনাম? এই প্রশ্নের উত্তরে পরিচালক বললেন, “আমার ভেতরের অন্য আমি, যা আমি হতে চাই, সেই ভাবনাটার নামই হেমা মালিনী। অর্থাৎ, মি লার্জার দ্যান মি, লার্জার দ্যান লাইফ-এর মতো এক ভাবনা থেকেই এই সিনেমার জন্ম।”

ছবিতে একসঙ্গে হেমা মালিনী আর ধর্মেন্দ্র কী করে? এই প্রশ্ন শুনে তিনি এক মজাদার ঘটনা শোনালেন। “আমি কিছুদিন আগে মুম্বাই গিয়েছিলাম। সেখানে লোখান্ডওয়ালা কমপ্লেক্সে একজন সিকিউরিটি গার্ডের নেমপ্লেটে লেখা দেখলাম ধর্মেন্দ্র। বুঝলাম ধর্মেন্দ্র নামে অনেক মানুষ আছে। তারা হয়তো সেই স্বপ্নের জগতে বাঁচতে চায়, আর তাঁদের  মা-বাবাও হয়তো সেই স্বপ্ন থেকেই এই নামটা দেন। এই ছবির গল্পে তেমনভাবেই কলকাতার এক হেমা মালিনীর সঙ্গে জুড়ে গেছে কলকাতারই এক ধর্মেন্দ্র।”

শেষে তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তাঁর চোখে হেমা মালিনী কী? তিনি বললেন, “আমি যেহেতু কবি, তাই আমি পৃথিবীটাকে সেই চোখেই দেখি। হেমা মালিনী বললে আমার মনে আসে একটা ধূসর পাহাড়, যার মাঝে একগুচ্ছ রডোডেনড্রন বা সূর্যমুখী ফুটে আছে। এটাই আমার কাছে হেমা মালিনী।”। আর তাঁর কাছে ধর্মেন্দ্র হলেন জাফর পানাহি, যাঁর সঙ্গে হয়তো কোনোদিন দেখা হবে না, তবু তিনি তাঁর কাছে চিরকালীন প্রেমের রূপক।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *