৯ বছর পর শাপমুক্তি আরসিবির, ট্রফি থেকে একধাপ দূরে দাঁড়িয়ে কোহলি
স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৬ সাল। সেই ২৯ মে। আইপিএল ফাইনালে হেরে গিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ২০২৫ সাল। সেই ২৯ মে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু এই দিনে জিতেই আরও একবার ফাইনালের ছাড়পত্র আদায় করে নিল। একেবারে সহজ জয়। প্লে অফে সবচেয়ে বেশি বল হাতে রেখে ফাইনালে যাওয়ার রেকর্ডও গড়ল বিরাট কোহলিরা। আগে ব্যাট করে ১৪.১ ওভারে মাত্র ১০১ রানে অলআউট হয়ে যায় বলিউড সুন্দরী প্রীতি জিন্টার দল পাঞ্জাব কিংস। যা তুলতে মাত্র ১০ ওভার সময় লেগেছে আরসিবির। ৬০ বল হাতে রেখেই আট উইকেটে বিশাল জয় পেয়ে ফাইনালে পৌঁছল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

২০০৯, ২০১১, ২০১৬ সালের পর ২০২৫। চতুর্থবার সুযোগ পেল আরসিবি এই ট্রফি ছোঁয়ার। আগের তিনবার হয়নি, এবার হবে কিনা সেদিকেই তাকিয়ে বেঙ্গালুরুর ভক্তরা, বিরাট ভক্তরা।এই ম্যাচ হারলেও পাঞ্জাবের বিদায় ঘটেনি। তারা আরও একটি সুযোগ পাবে। ইলিমিনেটর রাউন্ডে গুজরাট টাইটান্স ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে বিজয়ী দলের সঙ্গে কোয়ালিফায়ার-২ মোকাবেলা করবে ফাইনালে ওঠার জন্য। ১০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি ও মায়াঙ্ক আগরওয়ালের উইকেট হারায় বেঙ্গালুরু। ১২ রান করে আউট হন কোহলি। মায়াঙ্ক আগরওয়াল আউট হন ১৩ বলে ১৯ রান করে। তবে আর এক ওপেনার ফিল সল্ট ২৭ বলে ৫৬ রানের জোড়ো ইনিংস খেলে বেঙ্গালুরুর সহজ জয় নিশ্চিত করেন।
সল্ট মারেন ৬টা চার, ৩টি ছক্কা। ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন রজত পাতিদার। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেতে ১৪.১ ওভারে ১০১ রান করে অলআউট হয় পাঞ্জাব কিংস। সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন মার্কাস স্টোইনিস। ১৮ রান করে করেন প্রভসিমরন সিং ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই। অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার করেন মাত্র ২ রান। ৩টি করে উইকেট নেন জস হ্যাজলউড ও সুয়াশ শর্মা। ২০১১ সালে আইপিএলের প্লে-অফ পর্ব চালুর হওয়ার পর ১৪ আসরের মধ্যে প্রথম কোয়ালিফায়ার জয়ী দল ১১ বারই চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শেষ সাতবারই এমন ঘটনা ঘটেছে! সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারলে অধরা ট্রফির দেখা পাবেন বিরাট কোহলি।