১৪.৩ ওভারে ২৭ রানে অলআউট, লজ্জায় ডুবল ওয়েন্ট ইন্ডিজ, রেকর্ডের পর রেকর্ড

আর মাত্র এক রান কম করলে টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন দলীয় ইনিংসের রেকর্ড গড়া হয়ে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজের। একটু জন্য তারা সেটা থেকে বেঁচেছে। কিন্তু মাত্র ২৭ রানে অলআউট হয়ে টেস্টের ৭০ বছর আগের ইতিহাস মনে করিয়েছে ক্যারিবিনরা।১৯৫৫ সালে অকল্যান্ডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। ৭০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের চতুর্থ ইনিংসে মোট রান এটাই। এমন লজ্জার কীর্তি গড়ে ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক রোস্টন চেজ বলেন, ‘৩০ রানের নিচে অলআউট হওয়া অবশ্যই খুব লজ্জাজনক। তবে আমি মনে করি উইকেট খুব কঠিন ছিল। আমাদের মনে হয়েছিল ২০৪ রান অবশ্যই তাড়া করা সম্ভব। কিন্তু শুরুতেই যদি স্কোর হয় ১১ রানে ৬ উইকেট, তাহলে সেখান থেকে রান তোলা খুবই কঠিন হয়ে যায়।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের ইনিংস শুরু করে ০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে। টেস্ট ইতিহাসে এমন ঘটনা মাত্র ষষ্ঠবার ঘটলো। দলের সাত ব্যাটার করেছেন শূন্য। কোনো টেস্ট ইনিংসে এর আগে এতজন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হননি। এক অঙ্কে ছিলেন দশজন। দলীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ ১১ রান জাস্টিন গ্রেভসের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ছয় ব্যাটার মিলে করেছেন ৬ রান। পুরুষদের টেস্টে কোনো দলের প্রথম ছয় ব্যাটারের করা সবচেয়ে কম রানের রেকর্ড এটা। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে এই ধ্বংসলীলায় নামানোর মূল কারিগর মিচেল স্টার্ক। মাত্র ৯ রানের বিনিময়ে একাই ৬ উইকেট শিকার করেন এই পেসার। স্টার্কের ৫ উইকেট শিকার করতে লেগেছে মাত্র ১৫ বল। পুরুষদের টেস্টে দ্রুততম পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ড এটা। স্কট বোল্যান্ডও কম যাননি। ২ রানে নেন ৩ উইকেট। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটাররা ২৭ রানে অলআউট হওয়া ইনিংসে খেলেছেন মাত্র ১৪.৩ ওভার। এটি টেস্ট ক্রিকেটের তৃতীয় সংক্ষিপ্ততম অলআউট ইনিংস। এর আগে ১৯২৪ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২.৩ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকা এবং গত নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৩.৫ ওভারে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসেও ধস নামে, এবার তারা ১২১ রানেই অলআউট। তবুও প্রথম ইনিংসের লিড মিলিয়ে তাদের পুঁজিটা ২০৩ রানে দাঁড়ায়। তার বিপক্ষে ক্যারিবীয়দের সম্বল মাত্র ২৭!