মৃত্যুর পর জন্মদিনে তৈরি হল স্ট্যাচু, জুবিন আবেগে ভাসল অসম, স্ত্রী গরিমার পাশে জিৎ, শ্রদ্ধা মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি নেই। কিন্তু আছেনও। অসমের প্রতিটা বাড়িতে, সঙ্গীতপ্রেমীদের মনে, ভক্তদের হৃদয়ে জুবিন গর্গ উজ্জ্বল। এই দিনটা তো তাঁরই। জন্মদিন। বেঁচে থাকলে, ৫৪তে পা দিতেন তিনি। এদিন দিকে দিকে তাঁর জন্যই উৎসব উদযাপন চোখে জল নিয়ে অনুরাগীদের। তাঁর বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন হাজারো ভক্ত। সকলের কণ্ঠেই ছিল জুবিনের গান। শেষকৃত্যের স্থানেও ভক্তরা ভিড় করে প্রদীপ জ্বালিয়ে, ফুল দিয়ে এবং গান গেয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সকালেই জুবিনের সঙ্গে তোলা বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন স্ত্রী গরিমা। জুবিন নেই, স্মৃতি আছে। সমাজ মাধ্যমে আবেগঘন পোস্টে লিখেছেন, ‘এই জন্ম থেকে পরের জন্ম পর্যন্ত আমি আমাদের কাহিনী লিখে যাব। গোল্ডি, শুভ জন্মদিন। ভালো থেকো।’ সকালে তাঁর বাবা ও স্ত্রী গরিমা গার্গ মিলে কেক কাটেন, এরপর জুবিন গর্গের একটি ভাস্কর্য উন্মোচন করেন।
শুধু অসম কেন, বাংলার সঙ্গীতপ্রেমীদেরও মন ভারাক্রান্ত তাঁর জন্মদিনে। প্রয়াত গায়ককে শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার সমাজ মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লেখেন, ‘বিখ্যাত বহুমুখী সঙ্গীত প্রতিভা জুবিন গর্গকে তাঁর জন্মদিনে স্মরণ করছি। তাঁর সুর সমস্ত সীমা ছাড়িয়ে অনেক দূর পর্যন্ত বিস্তৃত।’ জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বহু বছরের বন্ধুত্ব জুবিন গর্গের। বন্ধুর টানেই শ্রদ্ধা জানাতে গুয়াহাটি যান সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গরিমার সঙ্গে দেখা করে জুবিনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ‘শুভ জন্মদিন আমার প্রিয় বন্ধু। কিছু মানুষ থাকেন যাঁরা কখনও ছেড়ে যান না আমাদের। সঙ্গেই থেকে যান। তুমি হলে সেরকমই। তুমি তোমার সুরেই সবার মধ্যে জীবিত থাকবে। তোমাকে আজ খুব মনে পড়ছে।’
উল্লেখ্য, ১৯ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান অসমের পুত্র সঙ্গীতশিল্পী জুবিন গর্গ। তাঁর মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে আজও। দুর্ঘটনা নাকি কোনও ষড়যন্ত্র, তা আজও জানা যায়নি। সমুদ্রে সাঁতার কাটতে নেমে প্রাণ হারান তিনি। জল থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়।
