বিশ্বকাপ জিতে দাবায় ইতিহাস, মা’কে জড়িয়ে আনন্দের কান্না ১৯-এর দিব্যা দেশমুখের
স্পোর্টস ডেস্ক:
মাত্র ১৯ বছর বয়স। দাবার ইতিহাস গড়ে চোখের জল আটকাতে পারলেন না দিব্যা দেশমুখ। মা’কে জড়িয়ে ধরে আনন্দের কান্নায় ভাসলেন। জর্জিয়া দাবা বিশ্বকাপে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আর এক ভারতীয় কোনেরু হাম্পি। কোনেরু হাম্পি যেবছর গ্র্যান্ড মাস্টার হন, তার তিন বছর পরে দিব্যার জন্ম হয়। সেই অভিজ্ঞ ভারতের ১ নম্বর মহিলা দাবাড়ু হাম্পিকে টাইব্রেকারে হারিয়ে তারুণ্যের জয়গান গাইলেন যেন দিব্যা দেশমুখ। ভারতের ঘরে এই প্রথম এল ফিডে-র মহিলা দাবা বিশ্বকাপের খেতাব। আর তা জিতে নিলেন দিব্যা দেশমুখ। সেই সঙ্গে মহিলা দাবায় ভারতের হয়ে লিখলেন নতুন ইতিহাস। দিব্যা শুধু ইতিহাসই লিখলেন না, তিনি নিজের গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাবও নিশ্চিত করলেন।
১৯ বছরের দিব্যা কিন্তু এই প্রতিযোগিতায় ১৫ নম্বর বাছাই হয়ে খেলা শুরু করেন। তাঁর নামের পাশে গ্র্যান্ডমাস্টার খেতাবও ছিলনা। ফাইনালে প্রথম ২টি ক্লাসিক্যাল ম্যাচই ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারে গড়ায় ম্যাচের ভাগ্য। সেখানে ব়্যাপিড চেস খেলা হয়। টাইব্রেকারে ২.৫-১.৫ স্কোরে ভারতীয় সতীর্থকে পরাজিত করেছেন তিনি। ৩৪ চালের পর ৩৮ বছরের হাম্পিকে কিস্তিমাত করেন ১৯ বছরের দিব্যা।
মহিলা দাবা বিশ্বকাপ জিতে দিব্যা দেশমুখ জিতে নিলেন ক্যান্ডিডেটস দাবায় অংশ নেওয়ার টিকিটও। দিব্যা বলেন, ‘টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আমি শুধু ভাবছিলাম যে এখান থেকে আমি গ্র্যান্ডমাস্টার পর্বে খেলার জন্য হয়ত উন্নীত হতে পারব। কিন্তু টুর্নামেন্টের শেষে আমিই গ্র্যান্ডমাস্টার এখন। এর থেকে ভাল অনুভূতি আর কিছু হতে পারে না।’ নাগপুরের মেয়ে দিব্যা ভারতের ৮৮তম গ্র্যান্ডমাস্টার এবং চতুর্থ মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টার। বিশ্বচ্যাম্পিয়নের পুরস্কার মূল্য হিসেবে ৪৩.২৩ লাখ টাকা পেলেন দিব্যা৷ রানার্স হিসেবে ৩০.২৬ লাখ টাকা পেলেন হাম্পি৷ তবে ফাইনালে ওঠার ফলে ভারতের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীই আগামী বছর বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ্যতা অর্জন করেছেন৷