মাঠে অপারেশন সিঁদুর! খোঁচা ও শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর, বুমরাহ দেখালেন যুদ্ধবিমান ধ্বংস!
স্পোর্টস ডেস্ক: মুখের ওপর জবাব। তিনবারের দেখায়, তিনবারই হারিয়ে যেন মাঠেই ‘ অপারেশন সিঁদুর’ করে ফেলেছে টিম ইন্ডিয়া। তাতেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অন্যদাকেে মাঠেই পাকিস্তানের বিদ্রুপ অভদ্রতার পাল্টা জবাব দিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহর। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের জয়কে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সঙ্গে তুলনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘খেলার মাঠে অপারেশন সিঁদুর। ফল একই হয়েছে – ভারত জিতেছে। আমাদের ক্রিকেটারদের অভিনন্দন।’ উল্লেখ্য, ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি হামলায় ২৫ পর্যটক-সহ মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হয়। বদলা নিতে ৭ মে পাক অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তানে অভিযান চালিয়ে জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয় ভারতীয় বায়ুসেনা। এবারের এশিয়া কাপে এই দুই ঘটনার প্রভাব পড়েছে। তিনবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হলেও, ভারতের কোনও ক্রিকেটারই পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন করেননি। পাকিস্তানকে প্রথম ম্যাচে হারিয়েই সেই জয় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে উৎসর্গ করেন সূর্যকুমার। এরজন্য সতর্কও করে দেয় আইসিসি।
সুপার ফোরেের ম্যাচে পাকিস্তানের ক্রিকেটার হ্যারিস রউফ যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ভঙ্গি করেন। রবিবার ফাইনালে তাঁকে বোল্ড করে সেই একই ভঙ্গি করেন ভারতীয় দলের তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ। ১৮ ওভারের পঞ্চম বলে পারফেক্ট বলে হ্যারিসকে বোল্ড করে দেন। ফুল ডেলিভারি উড়িয়ে দেয় রউফের অফস্টাম্প। তারপরই সেই জেট সেলিব্রেশন করেন বুমরাহ। তাঁর উচ্ছ্বাস দেখে মনে হয়েছে, বিমান মাটি থেকে উড়েই সঙ্গে সঙ্গে ধ্বংস হয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। যা দেখে উল্লাসে ফেটে পড়েছেন ভারতীয় নেটিজেনরা।চরম নাটকীয়তা আর উত্তাপের মধ্য দিয়ে শেষ হলো এশিয়া কাপ। দুবাইয়ে জমে ওঠা ফাইনালে ৫ উইকেট ও ২ বল হাতে রেখে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছে ভারত। তবে শেষ হওয়ার পরও যেন থামছে না ভারত–পাকিস্তান লড়াইয়ের উত্তেজনা। ফাইনাল শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে পাকিস্তানের সলমন আগা বলেন, ‘ভারত যা করেছে, তা খুবই হতাশাজনক। আমাদের সঙ্গে করমর্দন না করে তারা শুধু পাকিস্তানকে নয়, ক্রিকেটকেই অসম্মান করেছে। ভালো দলগুলো এভাবে আচরণ করে না। আমরা আমাদের দায়িত্ব পালনের জন্যই একা ট্রফির সঙ্গে ছবি তুলেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সূর্যকুমার যাদবের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে হাত মিলিয়েছি। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে এবং রেফারির মিটিংয়ে তিনি হাত মেলান। কিন্তু ক্যামেরার সামনে তারা সেটা করেন না। আমি নিশ্চিত, তিনি নির্দেশ মেনে চলছেন। তবে ব্যক্তিগতভাবে হলে তিনি আমার সঙ্গে হাত মেলাতেন।’
