২০২৬ বিশ্বকাপের বলের নাম ‘ট্রাইওন্ডা’, একাধিক বিশেষত্ব নিয়ে নজরকাড়া অফিশিয়াল এই বল
স্পোর্টস ডেস্ক: এখনও বছরখানেক বাকি। নিউ ইয়র্কের ব্রুকলিন পার্কে উন্মোচিত হল ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপের বল। যার নাম ‘ট্রাইওন্ডা’। জমকালো অনুষ্ঠানে পাঁচ বিশ্বকাপজয়ী জার্মানির ইয়ুর্গেন ক্লিন্সমান, ব্রাজিলের কাফু, ইতালির আলেজান্দ্রো দেল পিয়েরো, স্পেনের জাভি হার্নান্ডেজ এবং ফ্রান্সের জিনেদিন জিদানের হাতেই উঠল অফিশিয়াল এই বল। নতুন এই বলের রয়েছে একাধিক বিশেষত্ব। ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো বলেছেন, ‘আপনাদের সামনে ট্রাইওন্ডা উপস্থাপন করতে পেরে আমি খুশি ও গর্বিত। বিশ্বকাপের জন্য অ্যাডিডাস আরেকটি আইকনিক বল তৈরি করেছে, যার নকশায় কানাডা, মেক্সিকো ও যুক্তরাষ্ট্রের ঐক্য ও উচ্ছ্বাস ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।’
বলটি ডিজাইন করেছে অ্যাডিডাস। ১৯৭০ সাল থেকে তারাই ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল বল পার্টনার। ট্রাইওন্ডা এসেছে দুটি স্প্যানিশ শব্দ ‘ট্রাই’ ও ‘ওন্ডা’ থেকে। ‘ট্রাই’ অর্থ তিন আর ওন্ডা মানে ঢেউ। বলে লাল, সবুজ, নীল—এই তিন রঙের ঢেউ দিয়ে আয়োজক দেশগুলোকে বোঝানো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, মেক্সিকো—এই তিন দেশে আগামী বছরের জুন-জুলাইয়ে হবে ফুটবল বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য তারকা, কানাডার জন্য ম্যাপল পাতা ও মেক্সিকোর জন্য ইগল প্রতীক ব্যবহার করা হয়েছে। এসব প্রতীক বলের ওপর গ্রাফিকস আকারে খোদাই করা হয়েছে। সোনালি রঙের ছোঁয়াও রয়েছে বলটাতে। বলে রয়েছে বিশ্বকাপের লোগো। এবারের বলে লোগোগুলি এমন ভাবে খোদাই করা হয়েছে, তাতে গোলরক্ষকদের বল ধরতে কোনও সমস্যা হবে না।
বলেতে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবস্থাও থাকছে। বলের একপাশে বসানো হয়েছে ৫০০ হার্জ সেন্সর। এটা ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) দায়িত্বে থাকা ম্যাচ কর্মকর্তাদের রিয়েল-টাইম তথ্য দেবে। তাতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অফসাইড ধরা যাবে। হ্যান্ডবল, ফাউলের মতো বিতর্কিত পরিস্থিতিও এই সেন্সরের মাধ্যমে সহজেই চিহ্নিত করা যাবে। ২০২৬ সালের ১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত হবে ৪৮ দলের বিশ্বকাপ।