‘সিঁদুর ইজ আ চয়েস’, অবিবাহিতা হয়েও সিঁথিতে সিঁদুর, হাতে শাখা-পলা! চাঁদনি আবার ট্রোলের মুখ

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: শারদ উৎসবের রেশ কাটতে না কাটতেই যেন নতুন করে আলোচনায় টেলি অভিনেত্রী চাঁদনি সাহা! দশমী মানেই বাঙালির মন ভারাক্রান্ত করে উমার কৈলাসে ফিরে যাওয়া, বিষাদের সুর, আর তার সাথে মিষ্টি মুখ আর কোলাকুলির বিজয়া পর্বের শুরু। তবে এই বিষাদের মধ্যেও দেবীকে বরণ আর সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। উৎসবে মাখা সেই দিনেই লাল শাড়ি, গা ভর্তি গয়না আর সিঁদুর পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করেন উৎসবপ্রেমী চাঁদনি। ব্যস! ছবি প্রকাশ হতেই যেন বিতর্কের ঝড়!

ছবিতে সিঁথিতে অল্প সিঁদুর, কপালে লাল টিপ, আর দু’হাতে মোটা শাঁখা-পলা দেখে দর্শকের চোখ আটকে যায়। নেটিজেনদের মনে প্রশ্ন, চাঁদনি তো অবিবাহিত! তাহলে এ কী কাণ্ড! পর্দায় বহুবার সাত পাকে বাঁধা পড়লেও, বাস্তবে তাঁর সিঁথিতে সিঁদুর পরাল কে? অনেকেই ধরে নেন, তবে কি গোপনে বিয়ে সেরেছেন অভিনেত্রী?

কৌতূহল আর জল্পনা এতটাই ছড়িয়ে পড়ে যে, বহুদিনের বন্ধু মিমি দত্তও রসিকতা করে জানতে চান, ‘কে পরালো সিঁথিতে সিঁদুর?’ কিন্তু নেটিজেনদের একাংশ যেন অভিনেত্রীর এই সাজ একেবারেই ভালো চোখে দেখেননি। কেউ কেউ কটাক্ষ করে লেখেন, ‘কত রঙ্গ দেখতে হবে তোমাদের মত কিছু মানুষ জন দের দেখে। সিঁদুর নাকি ইচ্ছে হয়েছে পড়েছে।’ আবার কেউ কেউ হিন্দু ধর্মে সিঁদুরের গুরুত্ব মনে করিয়ে দিয়ে মন্তব্য করেন, ‘অসভ্য ও অশিক্ষিতদের কাছে সিঁদুর চয়েজ হতে পারে। সভ্য ও ভদ্রদের কাছে এটা বাধ্যতামূলক এবং দায়িত্ব।’ অনেকে আবার ‘স্টাইলের জন্য শাঁখা-পলা, সিঁদুর পরা মোটেই ভাল নয়’ বলেও মত দেন।আরও কিছুজন লেখেন, ‘বিয়ের আগে সিঁদুর পড়া পাপ।’ কেউ আবার মন্তব্য করলেন, ‘এই কারণেই সিঁদুরের গুরুত্ব কমছে।’

টানা আক্রমণের মুখে শেষমেশ মুখ খোলেন অভিনেত্রী। ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি নেটিজেনদের মন্তব্যের জবাব দেন। সেখানে স্পষ্ট করে চাঁদনি লেখেন, “আমার বিয়ে হয়নি। আমি সিঁদুর খুব ভালোবাসি তাই পরেছি।… মোট কথা সিঁদুর হল চয়েস।” তিনি এও লেখেন, ‘আমি সিঁদুর খুব ভালবাসি তাই পড়েছি ।সিরিয়াল করতে করতে হাজার বার পরেছি তাই আমার কিছু যায় আসে না। বিবাহিতরা অনেক সময় নাই পরতে পারে সেটা তাঁদের চয়েস আর আমার বিয়ে হয়নি তাও পরেছি সেটাও আমার চয়েস। বিয়ে হয়ে গেলে আবার হয়তো ইচ্ছে সেরকম নাও করতে পারে, ইউ নেভার নো’। 

বর্তমানে ‘জোয়ার ভাঁটা’-র ইতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করছেন চাঁদনী। কিন্তু বাস্তব জীবনে তাঁর এই স্বাধীন সিদ্ধান্তকেই কেউ বলছেন সাহসী, কেউ বলছেন বিতর্কিত।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *