চলে গেলেন ‘আংরেজোকা জামানেকা জেলার’, দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েই প্রয়াত আসরানি!

0




আনন্দের উৎসব দীপাবলি। এমন দিনে নেমে এল শোকের ছায়া। প্রয়াত বর্ষীয়ান কৌতুকাভিনেতা আসরানি। ৮৪ বছর বয়সে দীর্ঘ রোগভোগের পর সোমবার না ফেরার দেশে চলে গেলেন ‘আংরেজোকা জামানেকা জেলার’৷ তাঁর মুখে শোলের এই সংলাপ আজও ভুলতে পারেননি হিন্দি সিনেমাপ্রেমীরা। এই চরিত্রই আসরানিকে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে কৌতুকাভিনেতাদের মধ্যে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। 
রাজস্থানের জয়পুরে জন্ম নেওয়া গোবর্ধন আসরানি ১৯৬০-এর দশকে মুম্বইয়ে অভিনয়ের জগতে পা রাখেন। তাঁর তুখোড় কমেডি সেন্স ও নিখুঁত টাইমিং তাঁকে পরিণত করে বলিউডের অন্যতম সেরা কৌতুকাভিনেতায়। পাঁচ দশকের বেশি সময়জুড়ে ৩৫০টির বেশি হিন্দি ছবিতে অভিনয় করেছেন। ‘মেরে আপনে’, ‘বাওয়ার্চি’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘অভিমান’, ‘সরগম’, ‘অমর আকবর অ্যান্টনি’—প্রতিটি সিনেমায় তাঁর উপস্থিতি দর্শকদের মনে হাসির সঞ্চার করেছে। হাস্যরসের জাদু আর নিখুঁত টাইমিং দিয়ে তিনি ছুঁয়ে গিয়েছেন কোটি দর্শকের হৃদয়।
আসরানির ম্যানেজার জানান, অভিনেতার স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়ায় চার দিন আগে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। চিকিৎসকরা জানান আসরানির ফুসফুস তরল পদার্থে ভরে গিয়েছে। সংক্রমণের কারণে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেও, আসরানি ইনস্টাগ্রামে তাঁর ভক্তদের দীপাবলির শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। আসরানি রেখে গেলেন স্ত্রী, অভিনেত্রী মঞ্জু ও এক পুত্রসন্তান। 
আসরানির মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে বলিউডজুড়ে। অমিতাভ বচ্চন এক্সে লিখেছেন, ‘অভিনয়ের এক যুগের অবসান। আসরানি শুধু কমেডিয়ান ছিলেন না, তিনি ছিলেন আমাদের সবার প্রিয় সহকর্মী ও বন্ধু।’ অভিনেতা ধর্মেন্দ্র লিখেছেন, ‘দীপাবলির আলো নিভে গেল। বিদায় প্রিয় আসরানি, তোমার হাসি আমাদের মনে চিরকাল বাজবে।’অক্ষয় কুমার লিখছেন, ‘আসরানিজীর প্রয়াণে, আমি ভাষা হারিয়েছি। সদ্যই, এই ১ সপ্তাহ আগে ছবির শ্যুটিং সেটে আমরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছিলাম। সবচেয়ে উষ্ণতা ছিল ওই জড়িয়ে ধরাটায়। বর্তমান সময়ে উনি একজন কিংবদন্তি ছিলেন তা বললে অত্যুক্তি হবে না। আমার সমস্ত হিট সিনেমা, ‘হেরা ফেরি’ থেকে শুরু কের ‘ভাগম ভাগ’, ‘দে দনা দন’, ‘ওয়েলকাম’, ‘ভূত বাংলা’ আর শেষকালে এই ‘হাওয়ায়’.. ওঁর সঙ্গে কাজ করে কত কিছু যে শিখেছি। আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় ক্ষতি হয়ে গেল। ঈশ্বর আপনাকে শান্তি দিন আসরানি স্যার.. আমাদের অগাধ হাসির কারণ দিয়েছিলেন আপনি।’ তবে আসরানি চাননি তাঁর মৃত্যু নিয়ে কোলাহল হোক, মানুষ জমায়েত করুক। তাঁর ইচ্ছেকে মর্যাদা দিয়ে শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে সান্তাক্রুজে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। 

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *