‘ঘুষ দিয়ে সম্মান গ্রহণ নয়’, সেই কারণেই কি জাতীয় পুরস্কার অধরাই থেকে গেল কিশোর কুমারের?

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: কোনও প্রথাগত তালিম ছাড়াই হয়ে উঠেছিলেন বলিউডের অন্যতম প্রতিষ্ঠান। ভণিতা না করেই বলা যায়, সঙ্গীতের ইতিহাসে তিনি অন্যতম নক্ষত্র। কিন্তু তার পরেও ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ অধরাই থেকে গিয়েছে কিশোর কুমারের।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে গায়ক-পুত্র অমিত কুমার জানান, একবার এই পুরস্কারের খুব কাছাকাছিই পৌঁছে গিয়েছিলেন কিশোর কুমার। কিন্তু তীরে এসে তরী ডুবে যায়। তার অন্যতম কারণ ছিল, পুরস্কারের পরিবর্তে ঘুষ চাওয়া হয়েছিল গায়কের কাছ থেকে। যার একেবারেই পক্ষপাতী ছিলেন না কিংবদন্তি।

১৯৬০-এর দশকে অভিনেতা হিসেবে খুব একটা দাগ কাটতে পারেননি কিশোর কুমার। সেই সময়ে তিনি বসে পরিচালকের আসনে। ১৯৬৪ সালে মুক্তি পায় তাঁর ছবি ‘দূর গগন কি ছাঁয়ো মে’। বক্সঅফিসে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল এই ছবি। বলা হয়, সেই সময় নাকি জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন কিশোর কুমার।

সম্প্রতি সেই প্রসঙ্গেই অমিত কুমার বলেন, “হকিকিত’, ‘দোস্তি’, ‘দূর গগন কি ছাঁয়ো মে’ ছবির পর বাবার কাছে ফোন আসে। দিল্লির কোনও এক মন্ত্রী ফোন করেছিলেন বাবাকে। জাতীয় পুরস্কারের জন্য বাবার ছবিগুলিকে নিয়ে ভাবনাচিন্তা চলছিল। বাবাকে ফোন করে জানানো হয়, যদি কিছু টাকা দেওয়া হয়, তা হলে তার বিনিময়ে ওই ছবিগুলিকে জাতীয় পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হবে।” সেই সময় কিশোর কুমার পাল্টা প্রশ্ন করেন, “কেন? আমার ছবিগুলি তো বক্সঅফিস সফল।”

‘দূর গগন কি ছাঁয়ো মে’ ছবিটি যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছিল দর্শকমহলে। পরবর্তীতে তামিলেও রিমেক করা হয় ছবিটিকে। নাম হয় ‘রামু’। অমিত কুমার বলেন, ” ২৩ সপ্তাহ ধরে ছবিটি চলেছিল প্রেক্ষাগৃহে।”

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *