‘ফেম নয় স্বাধীনতা চেয়েছি’, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার নিয়ে সহজ বাঁধন
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: বরাবরই স্পষ্টবাদী তিনি। সমকামীর চরিত্রে অভিনয় হোক বা পর্দায় সহঅভিনেত্রীকে চুম্বন, তাঁর সাহসী অবতার এবং সোজাসাপ্টা মন্তব্যের কারণে বরাবরই আলোচনায় উঠে এসেছেন বাংলাদেশি অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধন। তাঁর একটাই বক্তব্য, ‘ফেম নয়, স্বাধীনতা চেয়েছি আমি’।
এ দিন সমাজমাধ্যমে অভিনেত্রী লেখেন, ‘সারাজীবনে আমি অনেক কিছুই পেয়েছি। তার জন্য আমি আল্লাহর কাছে সারাজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। কিন্তু যে মূল্যবান জিনিসটি আমি উপার্জন করেছি, সেটা পরিচিতি অথবা সাফল্য নয়,– স্বাধীনতা। এটাই আমার পাওয়া শ্রেষ্ঠ সম্পদ।
তিনি আরও লেখেন, ‘এমনও অনেক সুযোগ আমার কাছে এসেছে, যা হয়তো আমাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে পারত। সমাজে স্বীকৃতি পেতাম। কিন্তু আমি সেটা চাইনি। পরিবর্তে স্বাধীনতাকে বেছে নিয়েছি। আর একবার স্বাধীনতার স্বাদ পেয়ে গেলে, তার পুরোটাই ছিনিয়ে নিতে ইচ্ছে করে।”
নিজেকে স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করাটাও তো স্বাধীনতা। যদিও ঠিক এমন মনোভাবের কারণেই একাধিক মানুষের বিরাগভাজনও হতে হয়েছে বাঁধনকে। তিনি লেখেন, ‘এই কারণেই কিছু মানুষকে আমাকে অপছন্দ করেন। এই জন্য নয় যে আমি কী বলি বা কী করি। আমি মেনে নিই না সবকিছু, সেই কারণেই তাঁদের এত ঘৃণা।’
কিন্তু চলার পথ কি এতটাই সহজ? অভিনেত্রীর মতে, এই চড়াইউতরাই তাঁকে আরও শক্ত করেছে ভিতর থেকে। বাঁধন লেখেন, ‘কেউ আমাকে ভাঙতে চাইলে আমি আরও শক্ত হয়ে উঠি। কংক্রিটের মতো।”
সেই কারণেই তো নিজের মানসিক বিপর্যয়কেও জয় করেছেন নিজেই। আর তা নিয়ে লিখতে গিয়েই কোনও রাখঢাক করেননি অভিনেত্রী। হ্যাঁ, পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডারে আক্রান্ত বাঁধন। তিনি লেখেন, ‘নানা মানসিক আঘাত বহন করছি আমি। পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার আসলে কী, তা বোঝার মতো পরিস্থিতি পেরিয়ে এসেছি। এটাই আমার জীবনের সঙ্গী। এমন সঙ্গী, যাকে আমি কোনওদিন চাইনি। কিন্তু সে-ই আমাকে বাঁচতে শিখিয়েছে।’