সাত বছর ধরে হেনস্থা! কার বিরুদ্ধে বিস্ফোরক পৃথ্বীরাজের স্ত্রী-প্রযোজক সুপ্রিয়া?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক:
তারকা থেকে সাধারণ মানুষ, সমালোচনার শিকার কাকে না হতে হয়! বিশেষ করে তারকাদের ক্ষেত্রে তো বটেই। পায়ের নখ থেকে মাথার চুল, সবকিছু নিয়েই প্রতি মুহূর্তে নেটিজেনরা বসান খাপ পঞ্চায়েত। তবে সেটি যদি পৌঁছে যায় হেনস্থার পর্যায়ে! দীর্ঘ সাত বছর ধরে এমনই হেনস্থার শিকার হয়ে চলেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা পৃথ্বীরাজ সুকুমারনের স্ত্রী তথা প্রযোজক সুপ্রিয়া মেনন। ২০১৮ থেকে সমাজমাধ্যমে এক মহিলা লাগাতার নিশানা করে চলেছেন তাঁকে। এ বার সর্বসমক্ষে এই বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন সুপ্রিয়া। কী পদক্ষেপ করলেন?
সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি স্টোরি ভাগ করে নিয়েছেন সুপ্রিয়া। যেখানে প্রকাশ্যে এনেছেন ওই অভিযুক্ত মহিলাকে। তাঁর অ্যাকাউন্টের নাম ‘ক্রিশ্চিনাএল্ডো’। সুপ্রিয়া লেখেন, ‘সাক্ষাৎ করুন এই মহিলার সঙ্গে। যিনি বছরের পর বছর ধরে আমাকে ঘিরে যে কোনও পোস্টে নোংরা নোংরা মন্তব্য করে আসছেন। এর জন্য প্রচুর ভুয়ো অ্যাকাউন্টও তৈরি করে ফেলছেন তিনি। আমি আগে বহুবার সেই অ্যাকাউন্টগুলোকে ব্লক করেছি। বহু বছর আগেই আমি খুঁজে বের করেছিলাম ওঁর সম্পর্কে তথ্য। কিন্তু তাঁর একজন সন্তান আছে বলে কোনও পদক্ষেপ না করেই ছেড়ে দিয়েছিলাম।’

একাধিক রিপোর্ট দাবি করছে, অভিযুক্তের পুরো নাম ক্রিশ্চিনা এল্ডো। পেশায় একজন নার্স। সুদূর ইউএসএর বাসিন্দা। সম্প্রতি সুপ্রিয়ার প্রয়াত বাবাকে নিয়েও খারাপ মন্তব্য করেছেন তিনি। তারপরেই বেজায় চটে যান তারকা-পত্নী। ওই মহিলার ইনস্টাগ্রামে প্রোফাইলে থাকা ছবিটি শেয়ার করে প্রযোজক লেখেন, ‘মুখে যতই ফিল্টার থাকুক না কেন, তা কখনই মনের মধ্যে জমে থাকা কুৎসিত দিকটিকে আড়াল করতে পারবে না।”
একসময় পেশায় সাংবাদিক ছিলেন সুপ্রিয়া। ২০১১ সালে বিয়ে হয় পৃথ্বীরাজের সঙ্গে। তারপরেই মন দেন প্রযোজনার কাজে। পৃথ্বীরাজের প্রযোজনা সংস্থারই কর্ণধার এখন তিনি। এই প্রথম নয়, এর আগে ২০২৩ সালেও নিজের পরিবার এবং ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কটূক্তি ধেয়ে আসায় আইনি পদক্ষেপ করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সুপ্রিয়া। যদিও এই ক্ষেত্রে তিনি কোন দিকে এগোবেন, বা কী পদক্ষেপ করবেন, সেই সম্পর্কে কোনও উত্তর মেলেনি তাঁর কাছ থেকে।