‘কারুর ব্যক্তিগত জীবনকে লাফিং স্টক করা যায় না’, বিচ্ছেদের গুঞ্জন উড়িয়ে সম্রাট-ময়না
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: চলতি বছরের শুরুতে, তাঁদের দুই দশকেরও বেশি সময়ের দাম্পত্য হঠাৎই আসে প্রশ্নের মুখে। তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। অভিনেতা সম্রাট মুখোপাধ্যায় ও ময়না মুখোপাধ্যায়ের বিচ্ছেদ হচ্ছে, এমনটাই রটেছিল টলিপাড়া জুড়ে।
সম্প্রতি এই বিষয়ে ফের মুখ খুললেন এই তারকা দম্পতি। আডিশন-এর কাছে তাঁরা স্পষ্ট করে জানালেন, তাঁদের সম্পর্কে কোনও চিড় ধরেনি।
গুঞ্জনের সূত্রপাত চলতি বছরের সরস্বতী পুজোর সময় থেকেই। অভিনয়ের পাশাপাশি সম্রাট একটি অভিনয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্রও চালান। প্রতি বছর তাঁর কেন্দ্রে বড় করে সরস্বতী পুজো হয়। কিন্তু এই বছর বাবাকে হারানোর কারণে সম্রাট কোনও উৎসব পালন করেননি। তবে কেন্দ্রে প্রতিদিন যেতেন সম্রাট। সেদিন ময়নাকে না দেখে প্রশ্ন ওঠে, কোথায় তিনি? সম্রাট জানান, অসুস্থতার জন্যই অনুপস্থিত ছিলেন ময়না। খবর ছড়াতেই অনেকে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, কেউ সরাসরি ময়নার কাছেও জানতে চান। তিনি জানান, খবরটা একেবারেই ভুল।
তাহলেই প্রশ্ন, কেন স্ত্রীর সম্পর্কে এমন বলেছিলেন সম্রাট? তিনি অকপটে বলেন—“আমার স্ত্রী আর সন্তানরা শারীরিকভাবে ভাল ছিল না। ময়না তখন বাচ্চাদের স্কুলের পুজোয় যোগ দেয়, তাই আমাদের ইনস্টিটিউটে আসতে পারেনি। আমি ওর অসুস্থতার কথা বলায় অনেকেই ফোন করে বিরক্ত করতে শুরু করল। শেষে আরেকটু বিরক্ত হয়েই ময়না পুরোটা অস্বীকার করে। তার পরেই রটতে শুরু করে ডিভোর্সের খবর।”
এই খবর ঘিরে পরিবারের উপর চাপ বাড়ে। সম্রাটের কথায়, “আমাদের সন্তানদের স্কুলেও এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। ভাবা যায়, ওদের উপর কী প্রভাব পড়তে পারে?”
তবে এ বার ময়না , এই বিবাহবিচ্ছেদ প্রসঙ্গে আরও খোলসা করে তাঁর মনের কথা জানালেন আডিশন-এর কাছে। ময়নার প্রতিক্রিয়ায় স্পষ্ট রসিকতার ছাপ। একসঙ্গে থাকলেও বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে, এই ধরনের কথা শুনে শুরুতে বেশ অবাক হয়ে গিয়েছিলেন ময়না। তিনি বলেন, ‘‘যেটা সত্যি নয়, সেটা নিয়ে বেশি ভেবে লাভ নেই।’’ তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এমন হাস্যকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় দুজনেই বেশ বিরক্ত। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এ ধরনের রটনাকে তিনি ‘লাফিং স্টক’ বলেই আখ্যা দিলেন। এই প্রসঙ্গে ময়না বলেন, ‘‘আজকে যদি ডিভোর্স হয়, তখন তো লোকে জানবেই। তখনই কমেন্টগুলো করা উচিত, বা এগুলো লাইনলাইটে আনা উচিত। তুমি আগে নিজে সঠিকটা জানো। কোনও একটি নির্দিষ্ট অনুষ্ঠানে আমি যেতে পারলাম না, তার মানে এই নয় যে ওর সঙ্গে আমার চিরজীবনের জন্য ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে।’’
ময়না আরও বলেন যে এখন তাঁর অগ্রাধিকার বদলেছে, এখন তিনি দুই সন্তানের মা। তিনি এখন বাচ্চাদের স্কুল এবং তাদের দেখাশোনা, সামলাচ্ছেন আর সম্রাট নিজের ইনস্টিটিউট সামলাচ্ছেন। তাই অনেক সময় তিনি কোন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেন না। এর মানে এই নয় যে তাঁদের মধ্যে দূরত্ব এসেছে। কথা শেষ করতে গিয়ে ময়না মজা করে বলেন, ‘‘আমি মরে তোমায় মারব না, আমি মেরে মরব। একা তোমায় ছেড়ে যাব না, সে ডিভোর্স হোক আর যাই হোক।’’
