‘একটা খাতা কলম, হারমোনিয়াম এই হচ্ছে তাঁর জীবন’, শুভমিতা, অর্না, জয়ের কথায় নচিকেতা
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: নচিকেতা চক্রবর্তী বাংলা গানের ইতিহাসে এক অদ্বিতীয় নাম। গত ১ সেপ্টেম্বর জন্মদিন কেটেছে তাঁর, সেই উপলক্ষেই অডিশনের আড্ডায় শিল্পীকে নিয়ে গল্পে শুভমিতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অর্না শীল ও জয় সরকার।
শুভমিতার কাছে নচিদা শুধুই একজন গায়ক নন, তিনি পথপ্রদর্শক। প্রথম অ্যালবাম একেবারেই না চললেও, তিনিই আবার হাত ধরে টেনে এনেছিলেন মঞ্চে। বলেছিলেন, “তোকে তো ইন্ডাস্ট্রিতে আসতেই হবে।” ফলেই জন্ম নেয় ‘সাঁঝবেলার গান’। তাতেই খুলে গেল নতুন দিগন্ত। শুধু গান নয়, স্বাধীন ভাবে নিজেকে চিনে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। শুভমিতার কথায়, “নচিদা বললেন যে, ‘আমি খবর পাচ্ছি যে অনেক গীতিকার, সুরকার তোর জন্য গান করতে চায়। তোকে আমি ছেড়ে দিলাম। সবসময় আমাতে আটকে থাকিস না।’ এই কথাটা কিন্তু যিনি আমাকে হাত ধরে নিয়ে এলেন, তার তো একটা কর্তৃত্ব থাকে, কোনও দিন এরম করতে নচিদা কে দেখিনি। বরং এটা বলেছে, ‘আমি তোকে ছেড়ে দিচ্ছি। আমার আয়ত্তে সবসময় থাকিস না, মানুষ হবি না।” এই সহজ কথাতেই তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি। গানের টানে যেমন ধরে রেখেছেন, তেমনি আবার সময় এসেছে বুঝিয়ে ছেড়েও দিয়েছেন। শুভমিতা বলেন, “আমাকে সবসময় মা বলে ডাকতেন।” গানে ডুবে থাকা সেই মানুষটার জীবন মানেই খাতা, কলম আর হারমোনিয়াম।
অর্না শীলের মতে, নচিকেতা ‘রেয়ার জিনিয়াস’। এমন একজন শিল্পী, যিনি গানের গভীর জ্ঞান ও কারিগরি দিক সম্পর্কে সচেতন। গানের প্রতি তাঁর নিষ্ঠা, দায়বদ্ধতা আর সংগ্রাম থেকেই এসেছে তাঁর সাফল্য। অর্না বিশ্বাস করেন, তরুণ প্রজন্মের শেখা উচিত যে কটা ফ্ল্যাট বা কত টাকা হল, সেটা আসল নয়, আসল হল সাধনা। নচিকেতার মতো মানুষ এখনও রয়েছেন, এটাই বড় কথা।
জয় সরকারের কাছে নচিকেতা সময়ের থেকে অনেক এগিয়ে থাকা একজন শিল্পী। তাঁর সোজাসাপ্টা স্বভাবও বিশেষভাবে মনে রাখেন জয়, “ভালটাও পরিষ্কার বলে দিতে পারেন, খারাপটাও।”