জন্মদিনেই শেষ মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল, তাই এই দিনটা মনখারাপের: ঋতুপর্ণা
পড়ন্ত বিকেল। আকাশ জুড়ে শুধুই আতসবাজির রোশনাই। উপলক্ষ ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর জন্মদিন। মা ছাড়া প্রথম জন্মদিন। আনন্দের মাঝেও নায়িকা কণ্ঠে ধরা পড়ল বিষাদের সুর৷ এই দিনটাও নিজেকে কাজেই ব্যস্ত রেখেছেন।

জন্মদিনের দুপুরে, রামকমল মুখোপাধ্যায় পরিচালিত আগামী ছবি ‘লক্ষ্মীকান্তপুর লোকাল’-প্রচারে দেখা গেল নায়িকাকে। মাঝগঙ্গায় ছবির প্রথম গান শোনালেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। তাল মেলালেন সায়নী ঘোষ৷ উপরি পাওনা ছিল তৃনমূল নেতা মদন মিত্রর উপস্থিতি।

অভিনেত্রীর জন্মদিনের কথা আগে থেকেই জানতেন মদন৷ তাই ইস্কনের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রসাদ নিয়ে আসেন ঋতুপর্ণার জন্য। ঠিক তখনই চোখ ছলছল করে ওঠে অভিনেত্রীর। বার বার মনে পড়ে যাচ্ছিল মায়ের কথা। ঋতুপর্ণা বলেন, ‘‘শেষ এই দিনেই মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। তারপর তো সব শেষ! আর কথা হয়নি মায়ের সঙ্গে। এক দিকে যেমন জন্মদিনের আনন্দ আছে। তেমনই আবার মনে পড়ে যাচ্ছে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানোর পড়েই মায়ের জ্ঞান হারায়। আর কথা হয়নি। গত বছর আমার জন্মদিনের দিন মা শুভেচ্ছা জানিয়েই জ্ঞান হারান, আর কথা হয়নি৷ তবে পরিবার ছাড়াও আরও কত আত্মীয়-বন্ধু আছেন, সেটা এখানে এসে বুঝলাম।’’

নায়িকার কথা মুহূর্তে আবেগপ্রবণ করে তুলেছিল উপস্থিত সবাইকে৷ জড়িয়ে ধরলেন সায়নী৷ ইমন বললেন, “ঋতুদি আমার জন্য শুভ। ওঁর ছবিতে প্রথম গান গেয়েই তো জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলাম।” জন্মদিনে নিজে হাতে ইলিশ রান্না করে খাওয়ালেন নায়িকা৷ শোভাবাজার, বাগবাজার ঘুরে প্রমোদতরী ফিরল তার গন্তব্যে৷ কারণ, বিশেষ দিনে নায়িকার অপেক্ষায় বসে রয়েছেন তো আরও অনেকে।
