অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় ‘চিকিৎসকের কাছেও যেতে দেওয়া হয়নি’! বলিউড নিয়ে বিস্ফোরক রাধিকা

0

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: গ্ল্যামারের ঝলমলে দুনিয়ায় সবটাই কি নিখুঁত? প্রশ্নটা আবারও উঠে এলো রাধিকা আপ্তে আর দীপিকা পাড়ুকোনকে ঘিরে। সম্প্রতি তাঁদের অভিজ্ঞতার কথা শুনে স্পষ্ট হয়, খ্যাতি, অর্থ আর সাফল্যের আড়ালে লুকিয়ে থাকে এক নির্মম বাস্তবতা, যেখানে মাতৃত্বের মতো পবিত্র বিষয়কেও বাঁকা চোখে দেখা হয়।

সম্প্রত্তি অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়া সঞ্চালিত একটি সাক্ষাতকারে মুখ খুললেন রাধিকা আপ্তে। তিনি যখন প্রথম মা হতে চলেছেন, খবরটা তিনি আনন্দের সঙ্গে নিজের কাজের মানুষদের জানান। কিন্তু মুম্বইয়ের এক প্রযোজকের ঠান্ডা প্রতিক্রিয়া তাঁর মন ভেঙে দেয়। রাধিকার শরীরে পরিবর্তনের ফলে তিনি ফুলে উঠেছিলেন, সারাক্ষণ খিদে পেত। কিন্তু সহানুভূতির বদলে তাঁকে শুনতে হয়, “টাইট ফিটিং পোশাক পরুন”। এমনকি অসহ্য যন্ত্রণার মুহূর্তেও তাঁকে চিকিৎসকের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনা রাধিকাকে কষ্ট দিয়েছিল। তিনি কেবল চেয়েছিলেন সামান্য সহানুভূতি আর মানবিকতা।

একই সময়ে তিনি যখন হলিউডের একটি ছবিতে কাজ করছিলেন, সেখানকার পরিচালকের থেকে তিনি পেয়েছিলেন সম্পূর্ণ ভিন্ন অভিজ্ঞতা। পরিচালক যখন শুনলেন রাধিকার খাওয়া বেড়ে গিয়েছে, দিনের শেষে হয়তো তাঁকে সম্পর্ণ অন্যরকম দেখতে লাগতে পারে । উল্টে তিনি হাসিমুখে বলেছিলেন, “তোমাকে যদি অন্য রকমও দেখতে লাগে, তাহলেও কোনও সমস্যা নেই, কারণ তুমি অন্তঃসত্ত্বা।” এইটুকু কথাই রাধিকার কাছে এক পাহাড় সমান ভরসা ছিল।

এই অভিজ্ঞতা আজ নতুন নয়। প্রসঙ্গত সদ্য মা হওয়া দীপিকা পাড়ুকোনের একটি সিদ্ধান্ত বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল। পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙার ছবি থেকে তিনি সরে দাঁড়ান। শোনা যায়, এর কারণ ছিল তাঁর কিছু শর্ত— দৈনিক আট ঘণ্টা কাজের দাবি , পারিশ্রমিক এবং ছবির লভ্যাংশে ভাগ। এই শর্তগুলি পরিচালকের কাছে বেশি মনে হতে পারে, কিন্তু দীপিকার এই পদক্ষেপ মাতৃত্বকালীন কাজের সময় এবং কর্মজীবনের ভারসাম্যের গুরুত্বটা সামনে এনেছে। তাঁর অনুরাগীদের কথায় প্রসব-পরবর্তী অবসাদের মতো বিষয়গুলো যখন সমাজে নতুন করে আলোচিত হচ্ছে, তখন দীপিকার মতো একজন তারকা যখন তাঁর অধিকারের জন্য সোচ্চার হন, তখন তা অনেক মায়েদের জন্যই অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *