‘নিজেকে সামলান, না হলে সলমন হওয়া অবধারিত’, প্রাক্তন তনুশ্রীর বিয়ে হতেই রুদ্রনীলকে উপদেশ
‘জুড়িয়ে দিলো চোখ আমার, পুড়িয়ে দিলো চোখ
বাড়িতে এসে বলেছিলাম, ওদের ভালো হোক’..
জয় গোস্বামীর বিখ্যাত কবিতার লাইন। এমন কথাই কী বলবেন ‘প্রাক্তন’ রুদ্রনীল ঘোষ। সক্কাল সক্কালই যে মার্কিন মুলুকে গিয়ে বিয়ের খবর জানিয়ে দিয়েছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী! এরপর যেন সকলেই অপেক্ষায় ছিলেন হৃদয়ভাঙা প্রেমিক ‘রুদ্রনীল’ কী বলেন তার দিকে। অভিনেতা অবশ্য তনুশ্রীর বিয়ের খবরে অল্প কথায় লিখলেন, ‘‘তনুশ্রী-সুজিতকে বিয়ের অনেক শুভেচ্ছা। সুন্দর হোক তনুশ্রীর আগামী জীবন।’’ ভাঙা হৃদয়ের ছবি নয়, দিলেন একগোছা ফুলের বোকে এবং একগুচ্ছ লাল রঙের হৃদয়ের ইমোজি। ভক্তরা যেন অপেক্ষায় ছিলেন।

একের পর এক কমেন্টস সমাজ মাধ্যমে। কেউ লিখলেন, ‘‘প্লিজ, এ বার নিজেকে সামলান। না হলে সালমান হওয়া অবধারিত।’’ কেউ লিখলেন, ‘‘দাদা ওওওও দাদা, সব এক্স রাই তো বিয়ে করল, এ বার একটু নিজের কথা ভাবুন’’। কেউ লিখেছেন, ‘‘সেটা বড় ব্যাপার নয়। বড় ব্যাপারটা হল দাদার মনটা খুব বড়।’’

অভিনেতা রুদ্রনীল অবশ্য কারোর কমেন্টসেই পাল্টা জবাব দেননি। একসময়ের ‘প্রেমিকা’ তনুশ্রী চক্রবর্তীর বিয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই যেন ফের ফোকাসে চলে এসেছে টলিউডের পুরনো প্রেম। ২০১৭ সাল নাগাদ সম্পর্কে ছিলেন রুদ্রনীল ও তনুশ্রী। সকলেই ভেবেছিলেন বিয়ে করবেন তাঁরা। কিন্তু সে সম্পর্ক আর এগোয়নি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এখন সবই আলাদা-আলাদা। শুক্রবার মার্কিন মুলুকে সাদা গাউনে বিয়ে সেরে ফেলে সেই ছবি সমাজ মাধ্যমে দিয়েছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী। আমেরিকার লাস ভেগাসে বিয়ে করেছেন তনুশ্রী চক্রবর্তী এবং সুজিত বসু। মধুচন্দ্রিমার জন্য ফ্লোরিডায় যাওয়ার কথা। সকলেই খুশি। তনুশ্রীর বিয়ের খবর সামনে আসার পর থেকেই শুভেচ্ছার বন্যা।

সেইসঙ্গে খুশি হয়েছেন কি ‘প্রাক্তন’ রুদ্রনীল ঘোষও, সেই খবরেও নজর ছিল ভক্তদের। কিন্তু সত্যিই কি রুদ্রনীল বিয়ে করবেন না? সলমন খানের মতো চিরকুমার থেকে যাবেন? অভিনেতা অবশ্য এক সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, ‘‘ইচ্ছে আছে ২০২৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে বিয়েটা সেরে ফেলার।’’ কাকে? তাও জানতে চাওয়া হয়। রুদ্রনীল সেখানেও অকপটে জানিয়েছেন, ‘‘পাত্রী নির্বাচন করা হয়নি, তবে নিশ্চয়ই আমার মতো ট্রেন মিস করা কাউকে পেয়ে যাব।’’
