বিশ্বজয়ের পদক ট্র্যাজিক হিরোইন প্রতিকার গলায়! সতীর্থকে পদক দিয়ে মন জয় অমনজ্যোতের

0




হতে পারতেন বিশ্বজয়ের নায়িকা। কিন্তু হয়েছেন ট্র্যাজিক হিরোইন। প্রতিকা রাওয়াল। যিনি সেমিফাইনালের আগেই দল থেকে চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন। বাধ্য হয়েই তাঁকে বাদ রেখে দলে নিতে হয়েছিল শেফালি বর্মাকে। পায়ে চোট। হাতে ক্রাচে ভর দিয়ে সতীর্থদের সঙ্গ ছাড়েননি তিনি। সতীর্থরাও তাঁকে ছাড়া ভাবতে পারেনি। বাবাকে পাশে নিয়ে একটানা চিয়ার করে গিয়েছেন। ফাইনালে জিততেই হুইলচেয়ারে করে মাঠে চলে আসেন এই উচ্ছ্বাসে শামিল হতে। তবে দল থেকে বাদ পড়ায়, গ্রুপ পর্বের ৬ ম্যাচে ৩০৮ রান করলেও পদক গলায় ঝোলেনি। কোথাও হয়তো সেই দুঃখ তাঁর রয়েই যাবে। সব সতীর্থের গলায় যখন বিশ্বজয়ের পদক ঝুলছে, তখন গলা ফাঁকা প্রতিকার।সেই দুঃখের ক্ষতে প্রলেপ দিয়ে দিলেন অমনজ্যোত কৌর। সমাজমাধ্যমে এক ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছবিতে অমনজ্যোত কৌরের গলা ফাঁকা, পদক ঝুলছে প্রতিকা রাওয়ালের গলায়। এই ছবিই প্রশংসা পাচ্ছে নেটিজেনদের কাছে। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অমনজ্যোতের ক্যাচ ধরা নিয়ে গল্পও হয় এই সাক্ষাতে। নিয়মরক্ষার ম্যাচে বাংলাদেশের ইনিংসের ২১তম ওভারের শেষ বলে শারমিন আখতারের শট চলে যায় ডিপ মিড-উইকেটের দিকে। প্রতিকা বাউন্ডারি বাঁচাতে ছুট দেন। বৃষ্টি হয়েছিল। সেই কারণে আউটফিল্ড কিছুটা পিচ্ছিল ছিল। ফলে বিশ্রীভাবে পড়ে যান তিনি। এরপর পরীক্ষা নিরীক্ষায় বোঝা যায় চোটটা গুরুতর। প্রতিকার জায়গায় ব্যাট হাতে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন অমনজ্যোত। ফাইনালে অবশ্য অমনজোত কৌরের জাগলিং ক্যাচ সবচেয়ে বেশি নজর কাড়ে। সেই কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী হেসে তিনি বলেন, ‘ক্যাচ নেওয়ার সময় তুমি বলের দিকে তাকিয়ে ছিলে, কিন্তু ক্যাচ নেওয়ার পর, তুমি নিশ্চয়ই ট্রফির দিকে তাকিয়ে ছিলে।’ ক্যাচ জিতেই শুধু ট্রফি জেতাননি অমনজোত, জিতিয়ে দিয়েছেন যেন সতীর্থ প্রতিকাকেও।
ভারতের মেয়েদের বিশ্বকাপ জয়ের পরই ঝুলন-মিতালিদের হাতে বিশ্বকাপ তুলে দিয়ে মন জয় করে নিয়েছিলেন হরমনপ্রীতরা। আবেগে ভেসেছে আসমুদ্রহিমাচল। এবার অমনজোতের সৌজন্য দেখেও গর্বিত গোটা দেশ।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *