‘বড় চ্যালেঞ্জ! প্রচুর শেখার আছে’, পর্দার ‘মহুয়া’ হয়ে ওঠার আগে বললেন অঙ্কিতা
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: খুন নাকি আত্মহত্যা? ঠিক কী ঘটেছিল ৪০ বছর আগে? মৃত্যুর এত বছর পরেও মহুয়া রায়চৌধুরী ‘ধোঁয়াশা’ই থেকে গিয়েছেন। একাধিক উত্তর খুঁজে চলেছেন কৌতূহলী বাঙালি সিনেপ্রেমীরা। এ বার তারই যেন উত্তর দিতে আসছেন পরিচালক সোহিনী ভৌমিক। আগামী বছর তিনি পরিচালনা করবেন ‘গুনগুন করে মহুয়া’। কিন্তু কিংবদন্তির জুতোয় পা গলাবে কে?
বুধবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ছিল প্রয়াত অভিনেত্রীর জন্মদিন। এ দিন প্রকাশ্যে এল সেই ছবির নায়িকার নাম। টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অঙ্কিতা মল্লিক। এই মুহুর্তে দর্শক তাঁকে চেনেন ‘জগদ্ধাত্রী’ রূপেই। তিনিই হচ্ছেন বড়পর্দার ‘মহুয়া’। বলাবাহুল্য, এই ছবির হাত ধরেই বড় পর্দায় পা দিতে চলেছেন তিনি। কেমন এই অনুভূতি? তা জানতে অভিনেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আডিশন।
খানিকটা ভয় এবং অনেকটা উচ্ছ্বাস মেশানো কণ্ঠেই অঙ্কিতা বললেন, “উচ্ছ্বসিত তো বটেই। সেই সঙ্গে চিন্তাও হচ্ছে। প্রথম বড় পর্দায় কাজ এবং একই সঙ্গে এমন একটা চরিত্র যেটা বেশ কঠিন। এই মুহূর্তে আনন্দ আর চিন্তা দু’টো একসঙ্গে কাজ করছে।” কী ভাবে এল এই ছবির প্রস্তাব? একগাল এসে অভিনেত্রীর সহজ জবাব, “মনে হয় ভগবানের আশীর্বাদ।” তার পরেই যোগ করেন, “রানাদার (রানা সরকার) সঙ্গে কথা হয় কিছুদিন আগে। তিনি জানান, এই চরিত্রের জন্য আমার কথা ভাবা হচ্ছে। তার পরেই জানতে পারলাম আমাকেই চূড়ান্ত করা হয়েছে। আমি খুবই কৃতজ্ঞ ভগবান আমাকে এই সুযোগটা দিয়েছেন। আশা করব খুব ভাল হবে ছবিটা।”
বড় পর্দায় মহুয়া রায়চৌধুরীকে তুলে ধরা কি মুখের কথা! কী ভাবে নিজেকে তৈরি করছেন অভিনেত্রী? অঙ্কিতা জানান, এখনও প্রস্তুতি শুরু হয়নি। তিনি বলেন, “এটা আমার কাছে একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এমন একজনের ভূমিকায় কাজ অভিনয় করতে চলেছি যিনি সকলের প্রিয়। যাঁর হাঁটাচলা, কথাবলা সকলে দেখেছেন। তাঁর অভিনয়, নাচের কিছু অংশও যেন ছুঁতে পারি, সেই চেষ্টাই করব। অনেক কিছু করার আছে। অনেক কিছু শেখার আছে।”