জন্মদিনে চাই সিমাইয়ের পায়েস, সুদীপা বসু পাঠালেন পছন্দের কেক, কেমন গেল অরিজিতার জন্মদিন?
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: খুব একটা উদযাপনে বিশ্বাসী নন তিনি। তথাকথিত ‘পার্টি’ বলতে বন্ধু এবং কাছের মানুষদের নিয়ে সময় কাটাতেই পছন্দ করেন অভিনেত্রী অরিজিতা মুখোপাধ্যায়। জন্মদিনের সকালটাও শুরু হল কাছের মানুষদের উষ্ণ অভ্যর্থনা দিয়েই।
বড় পর্দা হোক বা ওয়েব সিরিজ, বাংলা সিনেদুনিয়ার বেশ পরিচিত মুখ অরিজিতা। ধারাবাহিকেও নজর কেড়েছেন নিজগুণে। ১৯ জুন, অভিনেত্রীর জন্মদিন। শুভেচ্ছা জানাতে তাঁর কাছে ফোন মারফত পৌঁছে গিয়েছিল আডিশন। কী ভাবে শুরু হল জন্মদিনের সকাল? তিনি বলেন, “বন্ধুবান্ধব আর আমার দর্শকদের থেকে অনেক অভিনন্দন পাচ্ছি। বন্ধুদের থেকে প্রচুর কেক পেয়েছি। বাড়িতে কেক ঢুকছে সকাল থেকে। অনেক বন্ধুই এই মুহূর্তে শহরে নেই। তাঁরা অনেকেই আমাকে কেক পাঠিয়েছে। ফ্রিজে একটা আইসক্রিম কেকও রয়েছে। আমার খুব পছন্দের একটা কেক পাঠিয়েছেন সুদীপা বসু। কোনওরকম ক্রিম ছাড়া প্লেন বাটার কেক, সঙ্গে চকোচিপস। তিনি জানতেন এটা আমার প্রিয়।”
অভিনেত্রী জানান, দোকান থেকে কেক কিনে এনে কাটার প্রচলন কোনওদিনই ছিল না তাঁদের বাড়িতে। ঘরে বানানো কেকেই হত জন্মদিন পালন। তিনি বলেন, “আমার মনে পড়ে, একটা কমলা রঙের কেক পাওয়া যেত। খুব ভাল খেতে। আসানসোলে যখন থাকতাম, ওটা খেতে আমি খুব ভালবাসতাম। আমার মা মাঝে মাঝে আমায় এনে খাওয়াতেন। জন্মদিনে এখনও ওই অরেঞ্জ ক্রিম কেকটার কথা মনে পড়ে।”
দুপুরের খাবারে যদিও তেমন এলাহি আয়োজন নেই। জন্মদিনে মায়ের হাতের বাড়ির খাবারেই মজলেন অভিনেত্রী। তিনি বললেন, “মা আমার জন্য রান্না করেছেন। বেশ আরাম করে বাড়ির খাবার খেয়েছি। আমি যেহেতু চালের পায়েস খাই না। তাই সিমাইয়ের পায়েস আমার জন্য। তা ছাড়া ডাল, পাঁচ রকম ভাজা, পটল পোস্ত আর ইলিশ মাছ। এইটুকুই মেনু।”
জন্মদিনে বাবাকে খুব মনে পড়ছে অরিজিতার। বাবাকে ছাড়া এটি তাঁর দ্বিতীয় জন্মদিন। অভিনেত্রী বলেন, “বাবার না থাকাটা একটা বড় শূন্যতা। আমি জানি না কী ভাবে সবটা সামলাতে হয়। এইটুকু জানি বাবা যেখানেই থাকুন, আমায় আশীর্বাদ করছেন সর্বক্ষণই। এটুকু বিশ্বাস নিয়েই দিনটা শুরু করলাম। কালকেও রাত বারোটার সময় মাকে প্রণাম করেছি। বাবার ছবির সামনে গিয়ে দাঁড়িয়েছি।” কমিউনিস্ট চিন্তাধারায় বিশ্বাসী অভিনেত্রীর বাবা বিশ্বাস করতেন না ‘উপহার’-এ। তিনি মজা করে বলেন, “বাবা বিশ্বাস করতেন না উপহার নেওয়ায়। আর বড় বয়সে উপহার না পাওয়া নিয়ে আলদাভাবে দুঃখ না থাকলেও পেলে ভালই লাগে। তবে এখনও পর্যন্ত মায়ের হাতের রান্না, কেক, শুভেচ্ছা-এগুলোই আমার কাছে উপহার।”
এই মুহূর্তে ছোট পর্দার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় অভিনয় করছেন অরিজিতা। শীঘ্রই শুরু হতে চলেছে নতুন ধারাবাহিক ‘রানী ভবানী’। অভিনেত্রী বলেন, “আপাতত আমি এই দু’টো ধারাবাহিক নিয়েই ভাবছি। পুজো পর্যন্ত একটা ব্যস্ততাও থাকবে। বড় পর্দায় আবার কবে ফিরব, এখনও জানি না।”