আমার যদি কিছু হয়ে যায়… অনুরাগীদের জন্য কেন এভাবে কথা বললেন ঋতাভরী

0




সত্যিই কত অনিশ্চিত জীবন! বুঝেছেন টলি নায়িকা ঋতাভরী চক্রবর্তী। এখনও তাঁর যেন উত্কণ্ঠা কমছে না। যাচ্ছে না অনিশ্চয়তার ভয়। যেসময় আহমেদাবাদে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, সেসময়ই যে তাঁর বিমান টেক অফ করেছে। যদি তাঁর বিমানেই ঘটত! সমাজ মাধ্যমে বাঙালি অভিনেত্রী ঋতাভরি চক্রবর্তী সেই ভয়ের কথাই তুলে ধরেছেন সমাজ মাধ্যমে।

তিনি বলেন, ‘জীবন এতো ছোট! এত ভঙ্গুর! এরকম একটা ঘটনা যখন ঘটে আমার মনেও হয় এই কথাটা।যখন দুর্ঘটনার খবরটা ছড়িয়ে পড়ে সেই সময় আমার বিমান সবে টেক অফ করছে, আমারও ইয়ার ইন্ডিয়ার বিমান ছিল, আমি মুম্বই থেকে আসছিলাম। সেসময় সারা রাস্তা একটা কথাই ভাবতে ভাবতে এসেছি, আমার যদি এই মুহূর্তে কিছু হয়ে যায়। ওই মুহূর্তটা কেমন হবে যখন সমস্ত কিছু ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে, চোখের সামনে তুমি দেখতে পাচ্ছ তুমি শেষ হয়ে যেতে চলেছ, তুমি বুঝছো,এটাই  শেষ কিছু মুহূর্ত। ওই মুহূর্ত যার সঙ্গে ঘটে, সে ছাড়া বাকিরা অনুমানই করতে পারবে না’।অভিনেত্রী আরও যোগ করে বলেন, ‘আমার কঠিন থেকে কঠিনতম সমস্যা বা মুহূর্তে একটাই জিনিস মাথায় আসে বা মনে হয় মাকে গিয়ে জড়িয়ে ধরি, সেখানে যদি আমি শেষও হয়ে যাই, মরেও যাই, হয়তো সেটাই আমার কপালে লেখা ছিল, কিন্তু আমার শেষ শ্বাসটা আমি শান্তিতে ত্যাগ করে চলে যাব, যদি মায়ের কাছে থাকতে পারি। মাকে যখন টাটা বলে বিমানবন্দরে গেছি বা অন্য কোথাও যাচ্ছি কেউ ভাবেনা যে আর মায়ের কাছে ফিরবো না, মায়ের সঙ্গে দেখা হবে না। কেউ তো ভাবে না যে এই যে বিদায় জানালাম বা টাটা বললাম সে যেখানে যাচ্ছে সে চিরকালের জন্য চলে যাচ্ছে। এটা আমাকে এতটা নাড়িয়ে দিয়েছে ভিতর থেকে, এতটাই প্রভাব ফেলেছে যে বোঝানো মুশকিল।আমার মনে হয় আমাদের সবারই জীবনটা সত্যিই অনিশ্চিত। সত্যি সত্যি কপালে কী আছে সেটা তো ভগবানই জানেন আর কেউ বলতে পারে না কী রয়েছে। তবে এরমধ্যে একটা ব্যাপার উপলব্ধিও করেছেন অভিনেত্রী। ঋতাভরী অনুরাগীদের উদ্দেশ্যে বলেন,’জীবনে কোন আফসোস রেখ না, আজকে তোমার আপনজন বল বা যেই বলো যদি মা, বোন, বউ যাঁকে খুব ভালোবাসো তাঁর সঙ্গে যে যে পরিকল্পনাগুলো করে রেখেছো, ধরো জড়িয়ে ধরার বা গল্প করার, কথা বলার সেগুলো আজই করো, কালকের জন্য ফেলে রেখ না। কারণ আমাদের কার কাছে কতটা সময় আছে কেউ বলতে পারেনা।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *