দেশের প্রথম জেন-জি বিধায়ক! বিহার নির্বাচনে জিতে ‘সর্বকনিষ্ঠ’ হলেন লোকগায়িকা মৈথিলী ঠাকুর

0

বিহার নির্বাচনে যেন সত্যি চমকে দিলেন লোকগায়িকা মৈথিলী ঠাকুর। ছিলেন গানবাজনা নিয়েই। কারণ লোকগীতি থেকে তাঁর পরিচিতি হলেও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত ও ভক্তিমূলক গানের জন্য মৈথিলীর বেশ নামডাক। মাত্র ১ মাস আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন বছর ২৫-এর মৈথিলী। তাতেই বিহারের নির্বাচনে আলিনগরে বিজয়ী হয়ে বিহারের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়ক হলেন। আলিনগরে আরজেডির হেভিওয়েট প্রার্থী বিনোদ মিশ্রকে হারিয়েছেন তিনি। এত অনায়াসে যে রাজনীতিতে নবাগত মৈথিলীর জয় আসবে, তা ভাবেননি অনেকেই। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই আরজেডির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল আলিনগর। এ বার মৈথিলী বিজেপির হয়ে দাঁড়াতেই পাশার দান উল্টে যায়।


মৈথিলীর বাবা এবং দাদু—দু’জনেই ছিলেন সঙ্গীতের সঙ্গে যুক্ত, সেখান থেকেই ছোটবেলা থেকে সুরের প্রতি ঝোঁক তৈরি হয় । ‘রাইজিং স্টার’ রিয়্যালিটি শো–তে রানার-আপ হয়ে তিনি জাতীয় পরিচিতি পান। ইন্ডিয়ান আইডল জুনিয়র, সারেগামাপা লিটল চ্যাম্পসে অংশ নিয়েছেন মৈথিলি। তবে খুব বেশিদূর এগোতে পারেননি। তবু চর্চা থামাননি। এরপর তিনি ইউটিউবসহ বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমে নিজের গান পরিবেশন করতেন। জনপ্রিয়তাও পান ক্রমশ।

২০২৪ সালে অযোধ্যায় রামমন্দির উদ্বোধনের সময় মৈথিলী‘মা শবরী’ গেয়েছিলেন। এরপরই সুখ্যাতি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৪ সালে আয়োজিত প্রথম সরকারি ‘ন্যাশনাল ক্রিয়েটর অ্যাওয়ার্ডস’-এ পুরস্কৃত ২৪ জন ইনফ্লুয়েন্সারের মধ্যে ছিলেন মৈথিলী ঠাকুর। তাঁকে ‘কালচারাল অ্যাম্বাসাডর অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ঘটনাক্রমেই বাড়ে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগও। এই শতাব্দীতেই জন্ম মৈথিলীর। ২০০০ সালে।তিনি দেশের প্রথম জেন জি বিধায়ক। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুসারে আলিনগর থেকে ১২.০৩৬ ভোটে জিতে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন মৈথিলি। তারই সঙ্গে শুধু বিহার নয়, বর্তমানে দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিধায়কও মৈথিলি ঠাকুর। নির্বাচনে মৈথিলী ঠাকুরের প্রচার ছিল অন্যরকম। তাঁর অনুষ্ঠান, গান, মাটির গন্ধে ভরা লোকসঙ্গীত মানুষের কাছে সহজেই পৌঁছে যায়। তাতে মন জয় করে নেন সহজেই।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *