স্কুলের প্রার্থনায় এ বার গাইতে হবে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’!  রাজ্যসঙ্গীত হল বাধ্যতামূলক

0



এ বার স্কুলে প্রার্থনায় গাওয়া হবে ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’।  রাজ্যের সমস্ত স্কুলে প্রার্থনার সময় রাজ্য সঙ্গীত গাওয়া বাধ্যতামূলক করা হল। এমনই বিজ্ঞপ্তি স্কুল শিক্ষা দফতরের।বলা হয়েছে যে, সব সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলে প্রতিদিনের প্রার্থনার সময় এই গানটি গাওয়া হবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উচিত হবে সকালের প্রার্থনায় গানটি সঠিকভাবে ও উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পরিবেশন করা। এছাড়াও, পর্ষদ আশ্বাস দিয়েছে যে, স্কুলগুলো এই উদ্যোগকে সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা ও সহায়তা পাবেন। রাজ্যের মন্ত্রী ব্রাত্য বসু সমাজ মাধ্যমেও পোস্ট করেছেন। বলা হয়েছে, জাতীয় সঙ্গীত ‘জনগণমন অধিনায়ক জয় হে’র পাশাপাশি প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাইতে হবে ‘বাংলার মাটি, বাংলা জল’ও। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমত্যানুসারে, এখন থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি সরকার ও সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৯০৫ সালে রচিত বিখ্যাত “বাংলার মাটি বাংলার জল” গানটি বিদ্যালয়ের প্রারম্ভে প্রার্থনা সঙ্গীত হিসেবে গাওয়ার জন্য অনুমোদিত হল।

কবি কর্তৃক রচিত ভারতের জাতীয় সঙ্গীত “জনমনগণ অধিনায়ক জয় হে”র প্রতি বিদ্যালয়ে নিয়মিত গাওয়ার পাশাপাশি, এই রাজ্যসঙ্গীত গীত হলে, তা সমগ্র রাজ্যের সামাজিক ও সাম্প্রদায়িক ঐক্যর বিশেষ অনুঘটক হিসেবে সর্বদা সজাগ ও সক্রিয় থাকবে বলে আমরা দৃঢ়বিশ্বাসী।’  কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত এই গানটিকে ২০২৩ সালে রাজ্য সঙ্গীত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল।  ১৯০৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই গানটি রচনা করেন। মূলত বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে বাংলার মানুষের মধ্যে ঐক্য ও দেশপ্রেম জাগিয়ে তোলার উদ্দেশে।

 এই পদক্ষেপের মূল উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেশপ্রেম, সংস্কৃতি এবং বাংলার ঐতিহ্যচেতনা জাগ্রত করা। গানটি মূলত বাংলার মাটি ও জলের প্রতি ভালোবাসা, সমৃদ্ধি এবং ঐক্যের বার্তা বহন করে।
প্রসঙ্গত, রাজ্য সরকারের সমস্ত অনুষ্ঠান, কর্মসূচির শুরুতে ‘রাজ্য সঙ্গীত’ গাইতে বলে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছিল আগেই। প্রতিটি সরকারি কর্মসূচির শুরুতে এক মিনিট ৫৯ সেকেন্ড ধরে গাইতে হয় ‘রাজ্য সঙ্গীত’।  গানটির আনুমানিক গাওয়ার সময় এক মিনিট।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *