কেড়ে নেওয়া হয়েছে সন্তান, বিদেশি স্বামীর অত্যাচারে ভারতে পালিয়ে এসে আদালতে ছুটলেন সেলিনা
সহ্যের বাঁধ ভাঙল অভিনেত্রী সেলিনা জেটলির। স্বামীর বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ প্রকাশ্যে আনলেন অভিনেত্রী। অভিনেত্রীর দাবি, দীর্ঘদিন ধরে গার্হস্থ্য হিংসার শিকার তিনি। মুম্বই আদালতে স্বামী পিটার হাগের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান মডেল-অভিনেত্রী। তিন সন্তানকে তাঁর থেকে কেড়ে নিয়েছেন স্বামী। সেই অভিযোগও তুলেছেন সেলিনা। বিয়ের ১৫ বছর পর মুম্বই আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করে স্বামীর থেকে চেয়েছেন ৫০ কোটি টাকার খোরপোশ। সন্তানদের জন্য মাসিক ১০ লক্ষ টাকার দাবিও করেছেন।

কী অভিযোগ করেছেন অভিনেত্রী? তাঁর টাকা চুরি করেছেন স্বামী পিটার। অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয় তাঁর থেকে। মুম্বইয়ে এক সাক্ষাৎকারে সেলিনা বলেছেন, “মানুষ হিসাবে বড্ড খারাপ স্বার্থান্বেষী, নিজেরটা ছাড়া কিছু বোঝে না। কথায় কথায় মাথা গরম ও মদে আসক্ত। আমাকে বলত, আমাকে নাকি ওর পরিচারিকার মতো দেখতে। এ ছাড়াও গায়ে হাত তোলা, গালিগালাজ ছিল নিত্যসঙ্গী।” ১২ ডিসেম্বর হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। শোনা যায়, পিটারকে বিয়ের পরেই নিজের কেরিয়ারকে আর সেভাবে গুরুত্ব দেননি অভিনেত্রী। তার পর তাঁকে সে ভাবে দেখাও যায়নি বড় পর্দায়।

সেলিনা, পিটারের সঙ্গে সম্পর্ক থেকে বিয়ে সবটাই সেরেছিলেন চুপিসারে। শোনা যায়, ২০১০ সালে অস্ট্রিয়ার হোটেল ব্যবসায়ী পিটারের সঙ্গে আলাপ হয় সেলিনার। ২০১০ সালেই গোপনে আংটিবদল করেন দু’জনে। তার পর ২০১১ সালে ভারতে এসে সেলিনার মা-বাবার সঙ্গে আলাপ করে বিয়ে সারেন।

