সুদিন ফিরল বাংলার হকির! কলকাতায় আন্তর্জাতিক মানের হকি স্টেডিয়াম, উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

লেসলি ক্লডিয়াস, কেশব দত্ত, গুরবক্স সিংদের শহরে ফের হকির সুদিন ফিরছে। কলকাতায় অ্যাস্ট্রো টার্ফ না থাকায় গত কয়েক দশকে এই রাজ্যের হকি প্রায় তলানিতে চলে গিয়েছিল। অবশেষে লেসলি ক্লডিয়াস, কেশব দত্ত, গুরবক্স সিংদের শহরে ফের হকির সুদিন ফিরছে। ভারতের বৃহত্তম হকি স্টেডিয়াম তৈরি হল বাংলায়। বৃহস্পতিবার তা উদ্বোধন করেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধনধান্য স্টেডিয়ামে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনের মাঝেই উদ্বোধন হল এটির।
প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটি আন্তর্জাতিক মানের অ্যাস্ট্রোটার্ফে সজ্জিত। এই স্টেডিয়ামে রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার আদলে তৈরি উন্নতমানের গ্যালারি এবং ২২ হাজার দর্শকাসনের সুবিশাল ব্যবস্থা। এখানে রয়েছে ওয়ার্মআপ জোন, দু’টি সুসজ্জিত ড্রেসিংরুম, একটি ভিভিআইপি ভিভিআইপি বক্স, দু’টি ভিআইপি বক্স, ভিআইপি লাউঞ্জ, আম্পায়ার ও ভিডিয়ো আম্পায়ার রুম, ডোপ টেস্টিং এবং মেডিক্যাল রুম, সম্প্রচার এবং ভিডিয়ো বিশ্লেষকের জন্য আলাদা রুম, ভেন্যু পরিচালনা কেন্দ্র এবং প্রেস কর্নার।
যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন স্টেডিয়াম চত্বরে রয়েছে জোড়া ফুটবল প্র্যাকটিস গ্রাউন্ড। তারই উল্টোদিকে গড়ে তোলা হল হকি বেঙ্গলের নিজস্ব অ্যাস্ট্র্যোটার্ফ স্টেডিয়াম। এই স্টেডিয়াম আগামী দিনে হয়ে উঠতে চলেছে বাংলার হকি ক্রীড়া পরিকাঠামোর প্রাণকেন্দ্র। ২০২১ সালে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। সে বছরই ঘোষণা করা হয়, যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের এক নম্বর গেট সংলগ্ন মাঠে আন্তর্জাতিক মানের হকি স্টেডিয়াম তৈরি হবে। ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানান, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো দেশের মডেলকে অনুসরণ করে এই স্টেডিয়াম তৈরি হবে। শুক্রবার দুপুর ১.৩০টায় সাংবাদিকদের নিয়ে নবনির্মিত এই স্টেডিয়াম পরিদর্শন করবেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। শহরের বুকে এমন স্টেডিয়ামের ফলে আগামীদিনে হকির হারানো জৌলস বলে আশাবাদী ক্রীড়া প্রেমীরা। নতুন অ্যাস্ট্রোটার্ফ স্টেডিয়ামকে ইতিমধ্যে ‘ক্যাটাগরি ২’ সার্টিফিকেট দিয়েছে ফেডারেশন, যার অর্থ, জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতা থেকে আন্তর্জাতিক ম্যাচ পর্যন্ত সব সব ধরনের হকি টুর্নামেন্ট আয়োজন করতেই এখন প্রস্তুত বাংলা। ফলে, আন্তর্জাতিক মানের হকির আসরও এ বার দেখা যাবে কলকাতায়।
