শিলিগুড়িতে যেন দেবীবরণ! বাড়ি ফেরার পথে জনজোয়ারে ভাসলেন বিশ্বজয়ী রিচা
এ যেন দেবীবরণ! কেউ যেন বাড়িতে নেই আর। সবাই রাস্তায়। বিশ্বকাপ জয় করে ঘরে ফিরলেন প্রথম বাঙালি মহিলা বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষ। তাঁকে অভিনন্দন জানাতেই কাতারে কাতারে মানুষ।জনজোয়ারের সুনামিতে ভেসে গেলেন রিচা, তাঁর নিজের শহরে পা দিয়েই। শুক্রবার শিলিগুড়ি ফিরেছেন রিচা। সকালে বাগডোগরা বিমানবন্দরে তাঁকে দেখতে বিপুল মানুষের ভিড় ছিল।ঢাকঢোল বাজিয়ে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান শহরবাসী। এর পর হুডখোলা জিপে চেপে বিমানবন্দর থেকে শিলিগুড়িতে আসেন রিচা।
শহরে পা রাখার পর থেকে অভ্যর্থনায় ভাসলেন বিশ্বজয়ী ভারতীয় দলের অন্যতম তারকা। ঘরের মেয়েকে সাদরে বরণ করল শিলিগুড়ি। উপস্থিত ছিলেন মেয়র গৌতম দেব, ডেপুটি মেয়র রঞ্জন সরকার সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।https://www.facebook.com/share/r/17g8eJDs8P/

আপাতত এক দিনের জন্যেই শিলিগুড়িতে ফিরেছেন রিচা। সেই উপলক্ষে হোর্ডিং, ব্যানারে সাজানো গোটা শহর। বিকেলেই শিলিগুড়ি বাঘাযতীন পার্ক ময়দানের রবীন্দ্র মঞ্চে রিচাকে নাগরিক সংবর্ধনা জানায় শিলিগুড়ি পুরনিগম। রিচার বাড়ি সুভাষপল্লি থেকে বাঘাযতীন পার্কের দূরত্ব প্রায় ২০০ মিটার। এই রাস্তা জুড়ে ছিল লাল গালিচা। রাস্তার দুই ধারে স্থানীয় মহিলা ক্রিকেটারেরা।তাঁরা ব্যাট তুলে রিচাকে গার্ড অফ অনার দেন। বাঘাযতীন পার্কে প্রথমে শিলিগুড়ি পুরনিগম এবং পরে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ রিচাকে সংবর্ধনা দেয়। পুরনিগম সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৯টি সংগঠন ওই নাগরিক সভায় রিচাকে সংবর্ধনা জানাতে চলেছে। রিচা যখন আসছিলেন, তখন মেয়ে ঘরে ফেরায় সবচেয়ে বেশি ব্যস্ত রিচার মা শম্পা ঘোষ। মেয়ের আবদার পূরণে সকাল থেকে হেঁশেলে নানা পদের সম্ভার আয়োজন করেন। রিচার পছন্দসই ফ্রায়েড রাইস ও চিলি চিকেন বানানোর কথা থাকলেও পরে তা বদল হয়েছে। হালকা ডাল-ভাত, শাক সবজি ও পনির দিয়েই মায়ের কাছে মধ্যাহ্নভোজ সারেন রিচা।
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রিচা বলেন, ‘স্বপ্ন ছিল ভারতের হয়ে খেলার। ট্রফি জেতার স্বপ্ন নিয়ে খেলেছি। আমার সাফল্যে আমার মা-বাবার অবদান সবচেয়ে বেশি। এর আগেও আমরা ভাল খেলেছি। কিন্তু একাধিক বার বিশ্বকাপ হাতছাড়া হয়েছে। কিন্তু এ বার আমরা জিতলাম। ঝুলন গোস্বামীরাই আমাদের অনুপ্রেরণা।’
নিষ্ঠা, কঠোর পরিশ্রম এবং শৃঙ্খলা। তাঁর সাফল্যের নেপথ্যে এই তিন মন্ত্রই রয়েছে। এমনটাই জানালেন বাংলার প্রথম বিশ্বজয়ী ক্রিকেটার রিচা ঘোষ। তিনি চান, আরও বেশি করে খেলাধুলোয় আসুক মেয়েরা।তিনি এও বলেন, ‘আমার মনের মধ্যে ছিল, কোয়ালিফাই করলে কেউ আটকাতে পারবে না। আমার সেরা ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধেই। এখন লক্ষ্য টি-২০ বিশ্বকাপ জেতা।’
