পরপর ২ চ্যাম্পিয়নের সাক্ষী ডেভিলিয়ার্স বললেন, এর চেয়ে ভাল কল্পনাও করা যায় না

২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের জন্য শেষ ২৪ বলে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান, হাতে ৬ উইকেট। এমন সমীকরণও মেলাতে পারেনি প্রোটিয়ারা! নিজেদের প্রতি যেন বিশ্বাসটাই ভেঙে যাচ্ছিল প্রোটিয়াদের। বড় মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার চাপে ভেঙে পড়ার অতীত ইতিহাস ঘেঁটে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন—নাহ্, এবারও হয়তো হবে না! সেই দক্ষিণ আফ্রিকাই রঙিন পোশাকে না পারলেও, সাদা পোশাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেখাল। ২৭ বছর পর বিশ্ব টুর্নামেন্টের খেতাব জয়। উচ্ছ্বাসের বাঁধ ভাঙাই স্বাভাবিক। ১৯৯৮ সালে ঢাকায় মিনি বিশ্বকাপ জয়ের পর ১১ সেমিফাইনাল আর ১ ফাইনালে হারের পর এবার দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। লর্ডসে আনন্দে সবায়ের চোখে জল।

নায়ক অবশ্যই প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পর দ্বিতীয় ইনিংসে অসাধারণ সেঞ্চুরির কৃতিত্বের মালিক এডেন মার্করাম। জয়ের নায়ক বলছেন, ‘এর থেকে দামি রান আগে কখনও করিনি। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে ফেরার পরেও সব ঠিকঠাকই হল। কখনও কখনও ভাগ্যের দরকার হয়।’ তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসের সেঞ্চুরি শুধু তো তাঁর কেরিয়ারেরই নয়, হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট ইতিহাসেরই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেঞ্চুরি! এই সেঞ্চুরিতে কিছু কীর্তিও হয়েছে তাঁর। টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে এটি তাঁর তৃতীয় সেঞ্চুরি।

টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে তাঁর সমান তিনটি করে সেঞ্চুরি আছে জিওফ বয়কট, গর্ডন গ্রিনিজ ও গ্রাহাম গুচের। এই তালিকায় তাঁদের ওপরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রেম স্মিথ ও ভারতের সুনীল গাভাসকর (৪টি)। প্রোটিয়াদের সকলেই এমন জয়ের পর প্রায় বাকরুদ্ধ। এবি ডেভিলিয়ার্স ম্যাচ দেখেছেন গ্যালারিতে বসেই। বললেন, ‘এর চেয়ে ভালো কল্পনাও করতে পারতাম না।’ এই মাসের শুরুতে ১৮ বছরের অপেক্ষা ঘুচিয়ে প্রথমবারের মতো আইপিএল জয়ের স্বাদ পায় ডেভিলিয়ার্সের পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। জয়ের পর বিরাট কোহলিদের সেলিব্রেশনের সঙ্গী হন তিনি নিজেও। এবার নিজের দেশের ২৭ বছরের ট্রফি-খরা কাটানোর সাক্ষী হলেন তিনি লর্ডসের গ্যালারিতে বসে। ফাইনাল জিতিয়ে আর এক নায়ক বাভুমা বলেছেন, ‘এবার হয়তো ধারণা বদলে যাবে সমালোচকদের’।