‘বাংলায় বাংলা সিনেমাই প্রাধান্য পাবে’, দেব, ঋতুপর্ণাদের সঙ্গে মিটিং শেষে বললেন অরূপ
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: বলিউড ছবির দাপটে কোণঠাসা হচ্ছে বাংলা ছবি! এই সমস্যা আজকের নয়। বহুদিনের। সমাধান খুঁজতেই বৃহস্পতিবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন দেব, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, সৃজিত মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, নিসপাল সিং রানে-সহ টলিপাড়ার প্রথম সারির পরিচালক-প্রযোজকেরা।
বৈঠক শেষে মুখে হাসি সকলেরই। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অরূপ বিশ্বাস বললেন, “কাজ করতে গেলে অনেকরকমেরই মতবিরোধ দেখা যায়। আজকে সবাই মিলে একসঙ্গে বসলাম আমরা। সব সমস্যার সমাধান হয়ে গিয়েছে। আরও বেশি করে যাতে বাংলা সিনেমা তৈরি হয়, দর্শক বাংলা সিনেমা দেখতে পারেন, সেই নিয়েই আজকের আলোচনা। বাংলায় বাংলা সিনেমাই প্রাধান্য পাবে।”
একই সুর দেব এবং কৌশিক এবং ঋতুপর্ণার কণ্ঠেও। দেব বলেন, “‘নো শো শেয়ারিং’ নিয়মটা বন্ধ করা হোক। এই সমস্যাটা আমার ‘টনিক’-এর সময়ও দেখা দিয়েছিল। ‘৮৩’ বলে একটা ছবি মুক্তি পেয়েছিল। তখনও লড়াই করেছি। ‘ধূমকেতু’র সময়তেও বলা হয়েছিল হিন্দি ছবি স্ক্রিন ভাগ করবে না। আমরা আজ এটাই সিদ্ধান্ত নিলাম যে বাংলায় ‘নো শো শেয়ারিং’ শব্দটাই বন্ধ হবে। বাংলায় বাংলা ছবি চালাতে হবে। সব ছবিই চলুক। কিন্তু আমরা যেন নিজেদের প্রমাণ করার জন্য জায়গাটা পাই।”
কৌশিকের কথায়, “অত্যন্ত ভাল মিটিং হয়েছে। এমন কোনও থিয়েটার থাকবে না, যা বাংলা ছবি চালাবে না। প্রাইম-টাইমে বাংলা ছবি চলবে আর সমস্ত সিনেমা হলে চলবে।”
ঋতুপর্ণা বলেন, “বাংলাতে দাঁড়িয়ে আমরা এমন উদ্যোগ না নিলে সত্যিই বাংলা সিনেমাকে বাঁচানো যাবে না। বহু প্রযোজকেরাই তখন মুখ ফিরিয়ে নেবেন। হাতে গোনা কিছু সংস্থা নিয়ে তো ইন্ডাস্ট্রি চলবে না। স্বাধীনভাবে যাঁরা কাজ করতে চান, তাঁদেরকেও সুযোগ দেওয়া উচিত।”
পরিবেশক শতদীপ সাহা বলেন, “প্রাইম শো মানে দুপুর ২টো থেকে ৩টের শো। সেখানে যেন একটা বা দুটো শো বাংলা ছবি পায়, সেইভাবেই পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এটা ‘ধূমকেতু’র জন্য খুব ভাল দিক। বাংলা সিনেমার ভালর জন্যেই এমনটা করা হচ্ছে।”