স্ত্রীকে হারালেন পরিচালক গৌতম ঘোষ, নীলাঞ্জনার প্রয়াণে শোকবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

0



প্রয়াত হলেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক গৌতম ঘোষের সহধর্মিনী নীলাঞ্জনা ঘোষ । বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। সম্প্রতি তাঁর অস্ত্রোপচারও হয়েছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি।কাঁথা শিল্পী হিসেবে শিল্পীমহলে সমাদৃত ছিলেন নীলাঞ্জনা ঘোষ। মৃত্যুকালে নীলাঞ্জনা ঘোষের বয়স হয়েছিল ৭০। পরিচালক গৌতম ঘোষের সহধর্মিনীর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ‘আমার প্রিয় নীলাঞ্জনা ঘোষের মৃত্যুতে আমি শোকগ্রস্ত বোধ করছি। আমার বৌদি, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষের স্ত্রী–তিনি একটি কঠিন অস্ত্রোপচারের পর আজ সকালে প্রয়াত হন। তাঁর সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল এবং আমি বিচলিত বোধ করছি। তিনি অনেক সামাজিক কাজ করতেন। আমরা জানতাম, তাঁর হাতের কাঁথা-শিল্পের কাজ ছিল সুন্দর। সেসব কথা মনে পড়ছে। গৌতমদাকে সান্ত্বনা জানানোর কোন ভাষা আমার জানা নেই। তবু তাঁকে মন শান্ত রেখে তাঁর কাজ চালিয়ে যেতে অনুরোধ করব। বৌদির কথা মনে রেখেই এই কাজ তাঁকে করতে হবে।’


১৭ অক্টোবর রাতে আচমকাই অসুস্থ বোধ করেন তিনি। বাড়িতে স্বামী এবং ছেলে কেউই ছিলেন না। কর্মসূত্রে দুজনেই ছিলেন বাইরে। অসুস্থ বোধ করায় স্বামী এবং পুত্রকে ফোনে যোগাযোগ করেন নীলাঞ্জনা। এরপরই ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাঁকে। এরপরও শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত আর শেষ রক্ষা হল না।
বাংলার কাঁথা শিল্পকে নতুন দিশা দেখিয়েছিলেন নীলাঞ্জনা ঘোষ। ‘বাংলার কাঁথা’ নামে একটি বইও লেখেন তিনি। কাঁথা শিল্পের প্রতি তাঁর ভালোবাসা গড়ে উঠেছিল মা শ্রীলতা সরকারের কাছ থেকে। নীলাঞ্জনার কাছে কাঁথা ছিল ক্যানভাস।  সেই ক্যানভাসে তিনি মনের মাধুরী মিশিয়ে নিজের কল্পনাকে সুতো দিয়ে ফুটিয়ে তুলতেন।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *