দিশার বাড়িতে গুলি-কাণ্ডের পরই খুশবুর আত্মরক্ষার অঙ্গীকার, পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথও
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: বলিউডের তারকারা কি আদৌ নিরাপদ? বিগত কিছু ঘটনার পর এমনটাই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। সলমন খান, কপিল শর্মার পর এ বার অভিনেত্রী দিশা পটানি। গুলি চলল অভিনেত্রীর বরেলির বাড়ির সামনে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার ভোর রাতে। দাবি, অভিনেত্রীর দিদি খুশবু পটানী হিন্দু ধর্মকে অসম্মান করেছেন। সেই অভিযোগেই এ হামলা। ঘটনার দায় স্বীকার করেছে কুখ্যাত গ্যাংস্টার গোল্ডি ব্রার।
গভীর রাতে মোটর বাইকে করে এসে দুই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। পুলিশের হিসাব মতো ১০ থেকে ১২ রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছিল। দিশা মুম্বইতে থাকেন। তাই সে সময় বাড়িতে ছিলেন শুধু তাঁর মা, বাবা ও দিদি। দিশার বাবা, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসার জগদীশ পটানী জানান, অল্পের জন্য গুলিটা তাঁর গায়ে লাগা থেকে বেঁচে যায়। তিনি আরও জানান, পোষা কুকুরের ডাকে সতর্ক না হলে গুলি সরাসরি তাঁর দিকেই আসছিল।
এই ঘটনার তিন দিন পর ফোন গেল বরেলীর ওই বাড়িতে। অপর প্রান্তে ছিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। জগদীশ বলেন, ‘‘বেশ গভীর রাতে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী খোঁজ নেন। সমবেদনা জানান। পরিবারের নিরাপত্তা তিনি নিশ্চিত করেছেন। আশ্বাস দিয়েছেন, দুষ্কৃতীরা যেখানেই থাকুক, ধরা হবে।’’
কিন্তু এখানেই থেমে থাকেননি অভিনেত্রীর দিদি, প্রাক্তন মেজর ও বর্তমানে এক ফিটনেস বিশেষজ্ঞ খুশবু পটানী। ঘটনার পরে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করলেন আত্মরক্ষার ভিডিও। মোবাইলের তার, নাটবল্টু— সাধারণ জিনিস কী ভাবে বিপদের সময়ে অস্ত্র হতে পারে, তার প্রদর্শনী দিলেন তিনি। খুশবুর কথায়, ‘‘এই কলিযুগে কখন কী হবে কেউ জানে না। অস্ত্রের লাইসেন্স থাকলে ভাল। না থাকলে কিছু আত্মরক্ষার উপায় অবশ্যই রাখা উচিত।’’
ভিডিয়ো ঘিরে তুমুল আলোচনা। একদল প্রশংসা করছেন, অন্যরা কটাক্ষও করেছেন। কেউ বলছেন, ‘সত্যিকারের সেনা-মনোভাব।’ আবার কেউ প্রশ্ন তুলছেন, ‘গুলির সামনে ডেটা কেবল কতটা কাজে দেবে?’
দিশা এখনও এ বিষয়ে মুখ খোলেননি।