সারা রাত জেগে একরত্তির ঠাকুর দেখা, প্রথম পুজোয় জমিয়ে ঠাকুর দেখতে ব্যস্ত কৃষভি
এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক: পুজো মানেই উন্মাদনা, পুজো মানেই আনন্দের ঢেউ। আর সেই ঢেউয়ে গা ভাসাতে কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ মল্লিক এখন একেবারে প্রস্তুত। তবে এই বছর আনন্দ যেন একটু ভিন্ন। কারণ, সঙ্গী হয়েছে এক বছরের কন্যা, কৃষভি মল্লিক।

পঞ্চমী থেকেই মেয়েকে নিয়ে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরেছেন তারকা দম্পতি। পুজো কেমন কাটছে জানাতেই ষষ্ঠীর বিকেলে আডিশনের কাছে অভিনেত্রী বললেন, “কৃষভিকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানো একটু চাপের। আজকে সঙ্গে দিদা নেই। আমাদের সব মিলিয়ে পুজো দুর্ধর্ষ কাটছে। দেখতেই পাচ্ছেন, যে সেজে এসেছিলাম, তা প্রায় ঘেঁটেই গিয়েছে। এর মধ্যেই বাবা কুলকুল করে ঘামতে শুরু করে দিয়েছে, আমারও প্রায় চুল খুলতে শুরু করেছে!”
তবে বাবা-মায়ের এই অবস্থা হলেও, কৃষভি কিন্তু উৎসাহে টগবগিয়ে ফুটছে! পঞ্চমীর রাতে সে নাকি সারারাত জেগে দক্ষিণ কলকাতার সমস্ত পুজো দেখেছে। আর ষষ্ঠীর দিন তারা শুরু করেছেন উত্তর কলকাতা থেকে— বাগবাজার হয়ে সোজা কাশী বোস লেন, কারণ একটু এগোলেই কৃষভির মামার বাড়ি। বাবা-মায়ের এই ঘোরার ধকলকে ছাপিয়ে গেছে মেয়ের এই পুজো দেখার আনন্দ। মনে হচ্ছে যেন কাঞ্চন-শ্রীময়ীর থেকেও প্রথম পুজো বেশি উপভোগ করছে কৃষভি।
কান্নাকাটি সে নাকি একদম পছন্দ করে না। শ্রীময়ীর কথায়, “ও লোকজনের মাঝেই মিলেমিশে থাকতে ভালবাসে, কিন্তু ওকে বিরক্ত করলে চলবে না।” মেয়ের এই লোকজনের সঙ্গে মিশে থাকার অভ্যেস দেখে খুশি কাঞ্চনও। কাঞ্চন জানালেন, এইবার বাবা-মেয়ে রং মিলিয়ে জামা পরেছে, এবং এই প্রথম মামার বাড়ির পুজোয় এসেছে, তাই উত্তেজনা আরও বেশি!
কাঞ্চন মল্লিক নিজের ছোটবেলার কথা মনে করে জানালেন, তিনি আজও পাড়ার পুজো ছেড়ে কোথাও বেরোন না, এমনকি পুজোর সময় কলকাতা ছাড়েন না। আর এখন কৃষভিকে নিয়ে এই পুজোয় অন্য এক উন্মাদনা কাজ করে। অষ্টমীর দিনে তাঁরা যাবেন শ্রীময়ীর বাবার বাড়ির পুজোয়।
এই পুজোতেই কাঞ্চন ও শ্রীময়ীকে প্রথমবার একসঙ্গে বড় পর্দায় দেখা যাবে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়-নন্দিতা রায়ের ছবি ‘রক্তবীজ ২’তে। এই প্রাপ্তি নিয়ে কাঞ্চন সবাইকে সপরিবারে ছবিটি দেখার আহ্বান জানালেন। শ্রীময়ী জানালেন, এই সুযোগ পাওয়ায় এ বারের দুর্গা পুজো তাঁর কাছে একদমই অন্যরকম। প্রেক্ষাগৃহ ‘হাউসফুল’ হচ্ছে, এইটাই ছোট-বড় সব শিল্পীর কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।