কলকাতা লিগে দুই প্রধানই এগিয়ে থেকেও ড্র করেই মাঠ ছাড়ল

0



ধামাকা দিয়েই লিগ শুরু করেছিল ইস্টবেঙ্গল। প্রথম ম্যাচে সাত গোল দেওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচেই আটকে গেল ইস্টবেঙ্গল। ১০ জনের সুরুচি সংঘর বিরুদ্ধে ১-১ গোলে ড্র করে বসল লাল হলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে একমাত্র গোল গুইতে ভ্যানলালপেকার। মনোতোষ মাঝি এবং জেসিন টিকে না থাকায় গোল করার লোকের অভাব প্রকট হয়ে উঠেছিল ইস্টবেঙ্গলের। প্রথমার্ধের শেষে ১-০ গোলে এগিয়ে ছিল ইস্টবেঙ্গল। ম্যাচের ৪৮ মিনিটে সুরুচি সংঘের হয়ে সমতা ফেরান পরিবর্ত ফুটবলার কর্মণ্য বানসাল। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে সুরুচির বাবলু ওরাও লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। এরপর আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ালেও, সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি লাল হলুদ ব্রিগেড। ম্যাচ শেষে ইস্টবেঙ্গলের কোচ বিনো জর্জ বলেন, ‘আমাদের চোট আঘাত ভোগালো। তবে আমরা অনেক সুযোগ কাজে লাগাতে পারিনি।। ওরাও ভালো ফুটবল খেলেছে’।
অন্যদিকে শুক্রবার কলকাতা লিগে খেলতে নেমেছিল আর এক প্রধান দল মহমেডান স্পোর্টিং। ব্যারাকপুর স্টেডিয়ামে কলকাতা পুলিসের সঙ্গে ২-২ গোলে ড্র করল সাদা কালো ব্রিগেড। মেহরাজউদ্দিন ওয়াডুর অধীনে সাদা কালো ব্রিগেড আশা জাগিয়ে শুরু করে। দু’বার এগিয়েও অবশ্য জয় ছিনিয়ে আনতে ব্যর্থই হয়।ম্যাচে ১৬ মিনিটে গোল করে লালথানকিমা এগিয়ে দেন মহমেডানকে। ১৯ মিনিটেই কলকাতা পুলিশের হয়ে ১-১ করেন রাহুল নস্কর।  ম্যাচের ২৯ মিনিটে ২-১ করেন লালগাইসাকা। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় এই ফলাফলেই। ম্যাচের ৫৪ মিনিটে ২-২ করেন সন্দীপ ওরাও। তিন পয়েন্ট হাতছাড়া হলেও, লড়াই করে মহমেডানের তরুণ ব্রিগেড। কলকাতা লিগে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ছেলেদের লড়াই দেখে অবশ্য খুশি সাদা কালো কোচ। কারণ, প্রস্তুতির জন্য বিশেষ সময়ও পাননি তিনি। ফেডারেশনের রেজিস্ট্রেশন ব্যান থাকায় সেরা দল হাতেও পাননি।

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *