একেবারে হাফডজন গোল, গোলের বৃষ্টিতেই বেহালাকে ভাসিয়ে দিল ইস্টবেঙ্গল

ডার্বি জয়ের পর পচা শামুকে পা কাটতে বহুবারই দেখা গেছে দুই প্রধানকে। এবার একেবারে উল্টো। আরও বেশি যেন শান দিয়ে ধারালো হয়ে উঠেছে ইস্টবেঙ্গল। এমনিতে ভরা বর্ষার বৃষ্টিতে বেহাল দশা বেহালার, তারওপর গোলবন্যাতেই ভাসিয়ে দিল আবার লাল হলুদ। গুনে গুনে হাফডজন গোল। ব্যারাকপুরে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় স্টেডিয়ামে কলকাতা লিগের ম্যাচে বৃষ্টিভেজা দুপুরে বেহালা এস এস-কে ছ’গোল দিল ইস্টবেঙ্গল।কল্যাণী ডার্বিতে চিরপ্রতিপক্ষ মোহনবাগানকে ৩-২ গোলে হারানোর পর লাল হলুদের এটাই প্রথম ম্যাচ ছিল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে বেহালাকে গোলের মালা পরালেন চাকু মাণ্ডি, ডেভিড, আশিক, নাসিব, জোথানপুইয়া, গুইতে। তাতে প্রথমার্ধে তিন গোল আর দ্বিতীয়ার্ধে তিন গোল। ১৮ মিনিটে তন্ময়ের অসাধারণ কর্নার থেকে চাকু মাণ্ডির গোলে এগিয়ে যায় লাল-হলুদ। ৩০ মিনিটে ডেভিডের গোলে ব্যবধান বাড়ায় ইস্টবেঙ্গল। এর ঠিক ৩ মিনিট পর ইস্টবেঙ্গলের হয়ে তৃতীয় গোল করেন মহম্মদ আশিক। এই তিন গোলেই বিরতিতে যায় বিনো জর্জের ছেলেরা। এরপর আবার দ্বিতীয়ার্ধে একই পুনরাবৃত্তি। ৭২ থেকে ৭৫ মিনিটের একটা স্পেলে আরও তিনটি গোল করে লাল-হলুদ। ৭১, ৭৪ ও ৭৫ মিনিটে আরও তিনটি গোল করেন লাল-হলুদের নাসিব রহমান, মার্ক এবং গুইতে। বোঝাই যাচ্ছিল, ডার্বি জয়ের পর আত্মবিশ্বাসের মগডালে চড়েই ম্যাচ খেলতে নেমেছিল লাল হলুদ ব্রিগেড। ইস্টবেঙ্গলের আক্রমণের কার্যত কোনও জবাব ছিল না বেহালা এসএস-এর কাছে। শেষ বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে ৬-০ ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে ইস্টবেঙ্গল। এই জয়ে ৬ ম্যাচে ৩ জয়ে প্রথম তিনে ঢুকে পড়েছে ইস্টবেঙ্গল। দলের ছেলেদের খেলায় বেজায় খুশি বিনো জর্জ। তিনি এই জয়ের ধারাবাহিকতাই ধরে রাখতে চান। উল্লেখ্য, লিগের প্রথম ম্যাচেই প্রথম ম্যাচে মেজারার্সের বিরুদ্ধে ৭-১ গোলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। এরপরই যদিও ছন্দপতন হয়।