আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়ে দেশ গর্বিত! ক্লাবে লাল হলুদ সমর্থকদের আবেগে ভাসলেন ফাজিলারা
শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাবে যখন পুরুষ ফুটবল দল মশাল জ্বালতে এ বার ব্যর্থ, তখন বিদেশের মাটিতে মশাল জ্বালিয়ে বছর শেষে দেশে ফিরেছেন লাল হলুদের মেয়েরা। নেপালে অনুষ্ঠিত ২০২৫ সাফ ওমেন্স ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়ন। এই প্রথমবার টুর্নামেন্ট। প্রথমবার অংশগ্রহণেই বাজিমাত কোচ এন্টোনি আন্দ্রেউসের প্রশিক্ষণাধীন মেয়েদের। দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ক্লাবের তকমা ও ট্রফি নিয়ে কলকাতা বিমানবন্দরে ফিরতেই লাল হলুদ জনোচ্ছ্বাসে ভাসলেন সুলঞ্জনা রাউল, ফাজিলারা। কয়েকশো ইস্টবেঙ্গল সমর্থক লাল হলুদ পতাকা, ব্যানার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বিমানবন্দরে। উল্লাস, স্লোগান, গান, জয়ধ্বনিতে শীতের দিনেও গমগম করে ওঠে বিমানবন্দর। এমন উষ্ণ অভ্যর্থনা আশা করেননি ইস্টবেঙ্গলের মহিলা ফুটবলাররা। দলের গোলমেশিন ফাজিলা ইকওয়াপুট বলেন, ‘আমি ভাবতে পারিনি, চ্যাম্পিয়ন হয়ে আসার পর এমন অভ্যর্থনা পাব।’ ইস্টবেঙ্গল কোচ অ্যান্থনি অ্যান্ড্রুজ বলেন, ‘সমর্থকদের এই ভালোবাসায় আমি সত্যি অভিভূত। এমন অভ্যর্থনা পেয়ে ভালো লাগছে’।
সোমবারই ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সভাপতি মুরারি লাল লোহিয়া, সাধারণ সচিব রূপক সাহা, ফুটবল সচিব সৈকত গাঙ্গুলি, ক্রিকেট সচিব সঞ্জীব আচার্য, আই.এফ.এ. সভাপতি অজিত ব্যানার্জির উপস্থিতিতে পতাকা উত্তোলন করা হয়। বরণ করে নেওয়া হয় লাল হলুদের জয়ী ফুটবলারদের। ছিলেন কোচ ও কোচিং স্টাফরাও।ক্লাবের শীর্ষ কর্তা দেবব্রত (নীতু) সরকার বলেন, দেশের গর্ব ইস্টবেঙ্গল, দেশবাসীকে গর্বিত করছে লাল হলুদ। তবে পুরুষদের দল কেন সাফল্য পাচ্ছে না তা নিয়েও চিন্তিত তিনি। দেবব্রত সরকার বলেন, আগামী মরসুমে নিশ্চয়ই পুরুষ দলও সাফল্য পাবে, কোনও কারণে ফিনিশিং হচ্ছে না।
পুরুষ এবং মহিলা ২ বিভাগ ইস্টবেঙ্গলে ৫ আন্তর্জাতিক ট্রফি
১৯৮৫ – কোকা কোলা কাপ চ্যাম্পিয়ন, কলম্বো
১৯৯৩ – ওয়াই ওয়াই কাপ চ্যাম্পিয়ন, নেপাল
২০০৩ – আসিয়ান ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়ন, ইন্দোনেশিয়া
২০০৪ – সান মিগুয়েল ইন্টারন্যাশনাল কাপ চ্যাম্পিয়ন, নেপাল
২০২৫ – সাফ ওমেন্স ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়ন, নেপাল
