ছেলেরা যখন ব্যর্থ, তখন মশাল জ্বালল মেয়েরাই, দ্বিমকুট ইস্টবেঙ্গলের

ছেলেদের যখন ট্রফি খরা, তখন মশাল জ্বালানোর দায়িত্বই নিয়েছেন লাল হলুদের মেয়েরা। একই মরশুমে দ্বিতীয়বার ট্রফি ঘরের তুলল ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা। একেবারে জোড়া লিগ খেতাবে দ্বিমুকুট জয়। শ্রীভূমি এফসিকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে কন্যাশ্রী কাপ চ্যাম্পিয়ন হল ইস্টবেঙ্গল।এই বছরই ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগও চ্যাম্পিয়ন হয় তারা।এই লিগ কন্যাশ্রী কাপ নামে পরিচিত হলেও তা আসলে কলকাতা লিগই। মঙ্গলবার কিশোর ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নির্ধারিত সময়ে ম্যাচের ফল ছিল ১-১। ৪৯ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলকে লিড এনে দেন সুলঞ্জনা রাউল। যদিও এই আনন্দের মুহূর্ত দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। স্বভূমি সেই গোল শোধ করে দেয়। এরপর টাইব্রেকারে ৪-২ জয় পায় লাল-হলুদের মহিলা ব্রিগেড। অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখান গোলকিপার মামনি দাস। শ্রীভূমির জোড়া পেনাল্টি আটকে লাল-হলুদের জয় নিশ্চিত করেন তিনি। টাইব্রেকারে প্রথম শটে গোল করতে ব্যর্থ হন ইস্টবেঙ্গলের পরিবর্ত ফুটবলার সুস্মিতা বর্ধন। ফলে চাপে পড়ে গিয়েছিল দল।

তবে শ্রীভূমির প্রথম শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে সেভ করে দিয়ে দলকে ম্যাচে ফেরান মামনি। এরপর জয় পেতে অসুবিধে হয়নি। নির্ধারিত সময়ের গোলদাতা সুলঞ্জনা রাউল টাইব্রেকারে পঞ্চম শটে গোল করতেই চ্যাম্পিয়ন হয় ইস্টবেঙ্গল। একটা দিকে পুরুষ দল যখন ক্রমাগত ব্যর্থতা এবং সমালোচনায় জর্জরিত হচ্ছে, তখন মেয়েরাই মুখরক্ষা করে চলেছে ইস্টবেঙ্গলের। যা নিয়ে এর আগে সুখ্যাতিও করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কন্যাশ্রী ক্লাবের ফাইনাল ঘিরে কম জলঘোলা হয়নি।

ইস্টবেঙ্গল শুরুতে জানিয়েছিল জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগে তাঁদের পক্ষে কন্যাশ্রী কাপের ফাইনাল খেলা সম্ভব নয়। কিন্তু আইএফএ তাদের অনুরোধ মানেনি। ফলে এদিন দল নামায় ইস্টবেঙ্গল। যদিও কর্তারা জানিয়েছেন, এরপর আগে থেকে সূচি না জানালে কন্যাশ্রী কাপে খেলা সম্ভব হবে না। মঙ্গলবারের ম্যাচ দেখতে মাঠে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।