ডেম্পো কাঁটা হতে পারে! জয়ের লক্ষ্যেই নামবে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া ইস্টবেঙ্গল

0



ডেম্পোর বিরুদ্ধে ড্র। এরপরই চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে বড় জয়। তাতেই সুপার কাপের সেমিফাইনালের দৌড়ে অনেকটাই অ্যাডভান্টেজে অস্কার ব্রুজোর দল। শুক্রবার গোয়াতেই তাদের মুখোমুখি হতে হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানের। সদ্য তাদের কাছে হেরে শিল্ড হাতছাড়া হওয়ার জ্বালা জুড়োয়নি লাল হলুদ সমর্থকদের, সে’কথা ভালই জানেন কোচ অস্কার ব্রুজো। এই ম্যাচ জিতলে, প্রতিশোধও নেওয়া হবে, ডার্বি জয়ে এগিয়েও যাওয়া যাবে আর সুপার কাপের সেমিফাইনালের দরজাও খুলে যাবে।
তবে সেমিফাইনালে ওঠার দৌড়ে অঙ্ক জটিল করে তুলতে পারে ডেম্পো। কারণ, ডার্বির আগে তারা খেলবে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে। ডেম্পো বড় ব্যবধানে জিতলে, আর ডার্বি ড্র হলে, তিন দলেরই হবে পাঁচ পয়েন্ট। যদি ডেম্পো অন্তত পাঁচ গোলের ব্যবধানে জেতে, তা হলে গোলপার্থক্যে তারা শীর্ষে শেষ করবে এবং সেমিতে উঠবে।  ডার্বি যদি গোলশূন্য ড্র হয়, আর ডেম্পো যদি ঠিক ৪–০ ব্যবধানে জেতে, তা হলে ইস্টবেঙ্গল ও ডেম্পোর পয়েন্ট এবং গোলপার্থক্য সমান হবে। সিদ্ধান্ত হবে টসে। মোহনবাগান ছিটকে যাবে। কারণ কলকাতার দুই প্রধানের পয়েন্ট সমান হলেও গোলপার্থক্যে এগিয়ে লাল–হলুদ। তাদের গোল পার্থক্য +৪। দুইয়ে থাকা মোহনবাগানের গোলপার্থক্য +২। আর তিনে থাকা ডেম্পোর দুই পয়েন্ট। গোলপার্থক্য শূন্য।


তবে চেন্নাইয়িনের বিরুদ্ধে যেভাবে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলেছে ইস্টবেঙ্গল, সেভাবেই ডার্বিতেও ছন্দ বজায় রাখতে চান অস্কার ব্রুজো। তিনি পরিষ্কার বলেন, ‘মোহনবাগানের সঙ্গে আমাদের এক গ্রুপে ফেলার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। এই মরশুমে আমরা ১১টা ম্যাচ খেলেছি। এর মধ্যে ৩টেই ডার্বি। তবে ওদের বিরুদ্ধে জিততেই আমরা মাঠে নামব। শিল্ডে টাইব্রেকারে হেরেছিলাম। তবে আমরা তৈরি।’ কারণ চেন্নাইয়িন এফসিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন সাউল ক্রেসপোরা।


তবে মাঠ নিয়ে চিন্তা রয়েছে ইস্টবেঙ্গল কোচের। মোহনবাগান যেমন গ্রুপের ম্যাচ ফতোরদাতেই খেলেছে, তেমন ইস্টবেঙ্গল গ্রুপের দুটো ম্যাচই ব্যাম্বোলিমে খেলেছে। অস্কার ব্রুজো  বলেন, ‘ফাতোরদার মাঠ বেশ শক্ত। ব্যাম্বোলিমের মাঠ তুলনামূলকভাবে ভাল। এই মাঠটা ভারতের অন্যান্য মাঠের চেয়েও আলাদা।’

About The Author

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *